শিল্প ও অবকাঠামোর জন্য রং তৈরি করি
Published: 13th, March 2025 GMT
আপনাদের প্রতিষ্ঠানের শুরুটা কীভাবে?
আমাদের প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫২ সালে, যখন আমাদের প্রতিষ্ঠাতা ‘কুমির মার্কা আলকাতরা’ নামে একটি রঙের ব্র্যান্ড চালু করি। সেখান থেকেই আমাদের পথচলা শুরু। এরপর দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রামজুল সিরাজ এ্যাকোয়া পেইন্টস নামে ঢাকার অদূরে টঙ্গীর বিসিক এলাকায় অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের একটি কম্প্রিহেনসিভ রং উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেন। সেই থেকে আমরা দেশীয় বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। রংশিল্পের কাঁচামাল যেমন রেজিন ও ইমালশন নিজেরা উৎপাদন শুরু করি, যা এখন ‘এ্যাকোয়া রেজিন ও ইমালশন’ নামে রঙের বাজারে বেশ পরিচিত।
একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ, যা দেশীয় কোম্পানি হিসেবে উল্লেখ করতে চান?
একটি বড় চ্যালেঞ্জ যা আমরা দেশীয় কোম্পানি হিসেবে মোকাবিলা করছি, তা হলো কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে সমস্যা। উদাহরণ, আমরা যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল আমদানি করি এবং সরবরাহকারীর সঙ্গে আলোচনার পর প্রতি কেজি ১.
রঙের বাজারের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ভাবনা কতটুকু প্রভাব ফেলে?
প্রতিটি কোম্পানিই তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে উদ্ভাবনী চিন্তাধারার মাধ্যমে বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। যদি কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের কথা বলতে হয়, তাহলে আমি থার্মোপ্লাস্টিক হটমেল্ট রোড মার্কিং এবং রানওয়ে মার্কিং পেইন্টের কথা বলব, যা আমাদের অন্যতম উদ্ভাবনী পণ্য। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, আমরা এখন রেজিন ও ইমালশন তৈরি করছি, যা অনেক দেশি-বিদেশি ও স্বনামধন্য কোম্পানি ব্যবহার করছে। এর ফলে দেশের টাকা দেশে থাকছে এবং এটি একটি কার্যকর আমদানি বিকল্প হিসেবে কাজ করছে।
আপনাদের পণ্য কী কী?
আমাদের পণ্যের পরিসর বেশ বিস্তৃত, যেখানে ওয়াটার বেইস, সলভেন্ট বেইস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পেইন্ট রয়েছে। ওয়াটার বেইস পেইন্ট দুটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত—ইন্টেরিয়র ও এক্সটেরিয়র। ইন্টেরিয়র পেইন্টের মধ্যে ‘সুপারস্টার’ অন্যতম জনপ্রিয় পণ্য, যা ওয়াশেবল, শিন ফিনিশ, টেকসই ও উচ্চ কভারেজ প্রদান করে। এক্সটেরিয়রের জন্য ‘ডিফেন্ডার’ অন্যতম, যা বাড়ির বাহ্যিক অংশকে রক্ষা করে এবং পরিবেশবান্ধব। সলভেন্ট বেইস পেইন্ট শ্রেণিতে রয়েছে ক্যাপ্টেন প্রিমিয়াম এনামেল পেইন্ট, রোড মার্কিং পেইন্ট ইত্যাদি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পেইন্ট শ্রেণিতে রয়েছে ইপোক্সি এনামেল ও ইপোক্সি সেলফ লেভেলিং। এ ছাড়া আমরা মেরিন পেইন্ট ও অন্যান্য বিশেষায়িত পেইন্ট সরবরাহ করি, যা বিভিন্ন শিল্প ও অবকাঠামোর জন্য আমরা রং তৈরি করি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমরা চাই, আমাদের দেশ আরও সুন্দর হোক এবং আমাদের পণ্য দিয়ে ভবন, রাস্তা, হাইওয়ে ও শিল্পকারখানার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র প র জন য ইন ট র প ইন ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) আজ সোমবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দুপুরের পর ডিইপিজেডের সব কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিইপিজেডের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে তারা উৎপাদন করতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ডিইপিজেডে প্রায় ৯০টি কারখানার এক লাখের মতো শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়।
বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার যদি এটি অব্যাহত থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। শ্রমিকেরা কাজ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘তিতাস বলছে, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে। তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, বেপজাকে কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের আগে ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনা করে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল।’
এ বিষয়ে ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্যাসের কোনো প্রেশার নেই। প্রেশার শূন্য। কিন্তু কেন তিতাস কর্তৃপক্ষ এমনটি করল, সে ব্যাপারে এখানকার (আশুলিয়া অঞ্চলের) তিতাসের লোকজন কিছু বলতে পারেননি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে জানি না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, বকেয়া নিয়ে কোনো ধরনের মামলা নেই। তিতাস কেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল, সেটি জানা নেই।’
জানতে চাইলে তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত। দুপুরের দিকে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।