রংপুরের মিঠাপুকুরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে ফুল সংগ্রহ করতে যাওয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১১) ধর্ষণ মামলার আসামি রুহুল আমিন (৫৫) আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (আদালত-১) রুহুল আমিন তাঁর আইনজীবী ফিরোজ কবিরের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের পরে তাঁর আইনজীবী আদালতের কাছে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কমল রায় জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামি রুহুল আমিনের আদালতে আত্মসমর্পণের পরে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো.

আমিনুল ইসলাম। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার। ভুক্তভোগী শিশুটি মিঠাপুকুর উপজেলার একটি গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশ, ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রহুল আমিনের পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকেন। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে স্কুলের শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়ার জন্য রহুল আমিনের বাড়িতে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফুল আনতে গিয়েছিল শিশুটি। তখন রুহুল আমিন তাকে জোর করে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে শিশুটি পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার দিন দুপুরে মিঠাপুকুরের বৈরাতীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে তাঁরা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের আলামত জব্দ করেন।

আরও পড়ুনরংপুরে ফুল সংগ্রহ করতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র হ ল আম ন হ ল আম ন র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
  • চমেক শিক্ষার্থী আবিদ হত্যা: ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
  • চমেক শিক্ষার্থী আবিদ হত্যা ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
  • দুদকের দুই মামলায় তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
  • তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
  • চমেক শিক্ষার্থী আবিদুর হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ১২ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
  • আত্মসমর্পণের পর কারাগারে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিন
  • খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
  • আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন
  • মানহানি মামলায় জামিন পেলেন বাসস এমডি