Samakal:
2025-08-01@05:08:07 GMT

চাঁদে মানুষের নতুন প্রতিনিধি

Published: 13th, March 2025 GMT

চাঁদে মানুষের নতুন প্রতিনিধি

এ বছরের ২ মার্চ সফল হলো মানুষের আরও একটি চন্দ্রাভিযান। ফায়াফ্লাই অ্যারোস্পেসের ‘ব্লু গোস্ট’ চন্দ্রযান যখন পা রেখেছে চাঁদের মাটিতে, বাংলাদেশ সময় তখন বেলা ১টা বেজে ৩৪। পূর্বাঞ্চলীয় মান সময় ভোর ৩টা ৩৪। ব্লু গোস্ট, বাংলায় ‘নীল অশরীরী’র বিনয়ী অবতরণ ঘটে চাঁদের লাভানির্মিত মাটির অংশে। চাঁদের নিঃসঙ্গ আগ্নেয়গিরি বিখ্যাত মন্স লাতরেইলে থেকে বেশি দূরে নয়। বহু যুগ আগে লাতরেইলের অগ্ন্যুৎপাতই ওই অববাহিকা তৈরি করে থাকতে পারে। জায়গাটা চাঁদের কেন্দ্রীয় মারে ক্রিসিয়ামের অন্তর্ভুক্ত। মারে ক্রিসিয়াম প্রায় তিনশ মাইল পরিধির এক সুবিস্তৃত অববাহিকা। নানা দিক থেকে এ মিশন গুরুত্বপূর্ণ। ‘নীল অশরীরী’র এই সফল অবতরণের ফলে পৃথিবীর সাধারণ মানুষ চাঁদের আরও কাছে পৌঁছে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। এ অভিযান নিকট ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের আভাস। 
আইজাক আসিমভের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে আমরা পড়েছি, কোনো এক গ্রহের কৃষকের ছেলে দূরগ্রহে ভাগ্যের অন্বেষণে যেতে চেপে বসেছে মহাকাশযানের ইকোনমি ক্লাসে। ভবিষ্যৎ বাস্তবতার এমন রূপরেখাই যেন নিরূপণ করতে চাইল ‘ব্লু গোস্ট’। যে দুটো সম্মিলিত প্রকল্পের আওতায় এ অভিযান, সেগুলো হলো নাসার কমার্শিয়াল লুনার পে লোড সার্ভিস ও আর্টেমিস মিশন। নাসার কমার্শিয়াল লুনার পে লোড সার্ভিসকে বাংলায় বলা যেতে পারে বাণিজ্যিক চন্দ্র পরিবহন পরিষেবা। ওদিকে আর্টেমিস মিশন নিয়ে তো জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। ভবিষ্যতে পৃথিবীর নানান দেশের অংশগ্রহণমূলক চন্দ্রাভিযান সম্পন্ন হবে এই আর্টেমিস মিশনের আওতায়। চাঁদে যাবে মানুষ, যাবে পণ্য, নিয়মিত। ধারণা করা হচ্ছে, নিকট ভবিষ্যতেই চাঁদে একজন নারী ও একজন অশ্বেতাঙ্গ যাবেন এই আর্টেমিস মিশনের আওতায়। 
এসব দিক বিচারে ‘নীল অশরীরী’ এই অভিযান নিছক কোনো অনুসন্ধান প্রকল্প নয়। সম্ভবত এটি ‘অ্যানাদার জায়ান্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড’। স্মরণ করা যাক, ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদে পা রাখা নিল আর্মস্ট্রংয়ের উক্তি, “দ্যাট’স ওয়ান স্টেপ ফর আ ম্যান, ওয়ান্ট জায়ান্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড।” চাঁদে আর্মস্ট্রংয়ের এক পা ফেলা ছিল মানবজাতির জন্য অকল্পনীয় দূরত্ব অতিক্রমের সমতুল্য। এটিও তদ্রূপ।
নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জ্যানেট পেট্রো উচ্ছ্বসিত হয়ে বেশ উচ্চাভিলাষী মন্তব্যই করলেন। ‘এই অবিশ্বাস্য অর্জন কিন্তু একটি বিশেষ দিক আমাদের সামনে উন্মোচন করছে। যা অনস্বীকার্য তা হলো, নাসা ও মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের সবার হয়ে, প্রত্যেকের কল্যাণে মানুষের মহাকাশযাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। এরই মাঝে নতুন অনেক কিছুই জেনেছি আমরা। আমাদের প্রযুক্তির এই পরাকাষ্ঠা, ফায়ারফ্লাই ব্লু গোস্ট মিশন ১ শুধু মানুষের বৈজ্ঞানিক সঞ্চয়ই বাড়াবে না; ভবিষ্যতে চাঁদসহ মহাকাশে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের সব ব্যবহারিক বাধা, আওতা, শক্তি-সাধ্য, সীমাবদ্ধতা, পথরেখাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ও নির্ণয় করা সম্ভব হবে। নিকট ও দূর ভবিষ্যতে মানুষের মহাকাশ অভিযানে যেসব তথ্য ভীষণ কাজে আসবে আমাদের।’
ব্লু গোস্ট বা নীল অশরীরী দশটি যন্ত্রকে পরিচালিত করবে চাঁদের বুকে ও প্রয়োজনে বায়ুমণ্ডলে। গোটা এক চান্দ্রদিবস চলবে এ অভিযান। এক চান্দ্রদিবস পৃথিবীতে ১৪ দিন। 
চাঁদের পথে দীর্ঘ এ যাত্রা শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি। ২ মার্চ চাঁদের বুকে নামার আগ পর্যন্ত এ মহাকাশ প্রকল্প অতিক্রম করেছে অকল্পনীয় দূরত্ব, ২৮০ লাখ মাইল। পৃথিবীতে ২৭ গিগাবাইট ডেটা ডাউনলিংক করে কাজ পরিচালনা জলবৎ তরলৎ, কিন্তু মহাকাশে এর জন্য জটিল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ যান্ত্রিক সামর্থ্য প্রয়োজন। সেই সামর্থ্যেরও প্রমাণ দিয়েছে ফায়ারফ্লাইয়ের এই মহাকাশযান অভিযান। মহাকাশযানের পথপরিক্রমায় জিএনএসএস সুবিধা ব্যবহার করতে হয়। জিএনএসএসের পূর্ণরূপ– গ্লোবাল নেভিগেশিন স্যাটেলাইন সিস্টেম। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে পরিচালিত এ সেবা কাজে লাগিয়ে মহাকাশযান তার অবস্থান, আনুমানিক ও আনুপাতিক সময়, পথরেখা জেনে নিতে পারে। অনেকটা যেভাবে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীতে মানুষ যে কোনো মুহূর্তে তার অবস্থান, গতিপথ, গন্তব্যে পৌঁছানোর আনুমানিক সময় এসব জেনে নিতে পারছে। বলা যেতে পারে সব জিএনএসএস এক ধরনের জিপিএস। কিন্তু সব জিপিএস জিএনএসএস নয়। ব্লু গোস্ট মিশন দুই লাখ ছেচল্লিশ হাজার মাইল দূর থেকে জিএনএসএসের মাধ্যমে তার অবস্থান, সময়সহ আনুষঙ্গিক তথ্য নির্ণয় করতে পেরেছে। এবং এটিও একটি বিশ্বরেকর্ড। জিএনএসএস সংকেত গ্রহণের এখন পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক দূরত্ব।
এ অভিযান বেশ কিছু সম্ভাবনা নিরূপণ করতে যাচ্ছে। চাঁদে কোনো ধরনের ভবিষ্যৎ মানববসতি অথবা গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের যা কিছু প্রয়োজন, সেসব স্থাপনে চাঁদ কতটা উপযুক্ত? চাঁদের মাটির দ্বিতীয় স্তরে চলবে খননকাজ। আমরা সেখানকার ভূপ্রকৃতি, মাটির গঠন, সহনশীলতা সম্পর্কে জানব ক্রমশ। জানতে পারব চাঁদের বিভিন্ন রকম খনিজ শিলা, সেসবের স্তরবিন্যাস সম্পর্কে। খতিয়ে দেখা হবে পৃথিবীর মতো চাঁদকেও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ব্যবস্থার আওতায় আনা কতটা সম্ভব। মানুষের অনুকূল পরিবেশ তৈরির স্বার্থে আরও দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তলিয়ে দেখা হবে। এক.

তেজস্ক্রিয়া নিরূপণ। সেখানে ক্ষতিকর তেজষ্ক্রিয়া বিকিরণ কোন মাত্রায় রয়েছে, তাকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তা যাচাই করা হবে। দুই. চাঁদে বিচরণের অন্যতম প্রতিবন্ধক ধুলা কতখানি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব তা-ও যাচাই করে দেখা হবে। চাঁদে পৃথিবীর মতো পানি নেই। সুতরাং ধুলার বাধা অনুমান করা যায়।  
মানুষ কল্পনাপ্রবণ, স্বপ্নবাজ বলেই মহাকাশ পাড়ি দেওয়ার স্পর্ধা রাখে। নিকি ফক্সের কথা শোনা যাক। তিনি নাসার ওয়াশিংটন দপ্তরের সহযোগী প্রশাসক। বললেন, ‘মানুষ ভবিষ্যতে এই মহাভুবনের আরও বহু অংশ যেন জয় করতে পারে, সেই উৎসাহ ও স্বপ্নের পথ নির্মাণ করছে নাসা। চাঁদে এই প্রাযুক্তিক সাফল্য আমাদের সেই পথনির্মাণেরই অংশ।’ একটি নতুন শব্দের অবতারণা ঘটতে যাচ্ছে নিকট ভবিষ্যতে। লুনার ইকোনমি। চান্দ্র অর্থনীতি। সেই আভাস মিলল নিকি ফক্সের কথায়– ‘চাঁদভিত্তিক অর্থনীতিরও ভিত তৈরি হচ্ছে। এর জন্য নাসা কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে পাশে পেয়েছে। আসছে দিনের এই অর্থনীতি দৃঢ় ভিতের পর দাঁড়িয়ে যেতে পারে।’ v

নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত টিয়েরনান ডি ডয়েলের নিবন্ধ
অনুসরণে হামিম কামাল

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র আওত য় জ প এস আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাণিজ্যবিরোধ: ভারত কেন ট্রাম্পের নিশানায়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের বাণিজ্যনীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। ভারতীয় পণ্যের ওপর হোয়াইট হাউসের শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তুতি নেওয়ার পর থেকেই এ আক্রমণের মাত্রা বেড়েছে।  

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করছে এবং এর পাশাপাশি অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রাম্প যখন বিশ্বের বহু দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছিলেন, তখনই ভারতকে উদ্দেশ করে তাঁর এমন কঠোর অবস্থান সামনে উঠে আসে।

হোয়াইট হাউসের অভিযোগ, ভারত মার্কিন পণ্যকে বাজারে ঠেকাতে অতিমাত্রায় শুল্ক আরোপ করছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ভারত রুশ জ্বালানি কেনা অব্যাহত রাখায় ট্রাম্প প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

‘ভারতের শুল্ক বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ’, গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। জবাবে ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের বক্তব্য ‘লক্ষ্য করেছে’ এবং এর ‘প্রভাব মূল্যায়ন’ করবে।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্যবিরোধ: পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়িয়ে

আজ থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্পের ধার্য করা ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক গত ২ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে ঘোষিত সম্ভাব্য শুল্ক থেকে মাত্র ১ শতাংশ কম।

এ হার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপানের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ শুল্কের চেয়ে বেশি। তবে গত মে মাসে  চীনের ওপর আরোপিত ৩০ শতাংশ শুল্কের চেয়ে কিছুটা কম।

হোয়াইট হাউসের অভিযোগ, ভারত মার্কিন পণ্যকে বাজারে ঠেকাতে অতিমাত্রায় শুল্ক আরোপ করছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ভারত রুশ জ্বালানি কেনা অব্যাহত রাখায় ট্রাম্প প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ শুল্ক ভারতের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা আরও জটিল করে তুলতে পারে। একাধিক দফা আলোচনার মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ১২তম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার ভারত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়া অনেক কোম্পানির নতুন গন্তব্য হয়েছে দেশটি। মে মাসে অ্যাপলের সিইও টিম কুক জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য আইফোন এখন ভারতে উৎপাদিত হচ্ছে; যাতে উচ্চ শুল্ক এড়ানো যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ওটিআর) তথ্যমতে, গত বছর ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ১২৯ বিলিয়ন (১২ হাজার ৯০০ কোটি) ডলার। ভারতের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পোশাক, রাসায়নিক, যন্ত্রপাতি ও কৃষিপণ্য।

ট্রাম্প কেন ভারতকে নিশানা করছেন

সম্প্রতি ট্রাম্প একাধিকবার বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভারতের ‘অতি উচ্চ’ শুল্ক আরোপের সমালোচনা করেছেন। এর মধ্যে কৃষিপণ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যও রয়েছে।

বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, ‘বছরের পর বছর আমরা ভারতের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে খুব কম ব্যবসা করেছি। কারণ, তাদের শুল্ক অত্যন্ত বেশি।’

এ মুহূর্তে যখন সবাই চায় ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ হোক, তখন ভারত চীনের সঙ্গে রাশিয়ার জ্বালানির সর্ববৃহৎ ক্রেতা।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট

দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করতে ভারত কিছু পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করেছে।

ওটিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে পণ্যবাণিজ্যে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন (৪ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের ঘাটতি দেখেছে। এটি আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। তুলনামূলকভাবে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে প্রায় ২৯৫ বিলিয়ন (২৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের বাণিজ্যঘাটতিতে ছিল।

আরও পড়ুনভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা, ইরানের পণ্যের বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ ৩১ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্প আরও ক্ষুব্ধ যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ভারত রুশ তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে।

‘এ মুহূর্তে যখন সবাই চায় ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ হোক, তখন ভারত চীনের সঙ্গে রাশিয়ার জ্বালানির সর্ববৃহৎ ক্রেতা’, বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন ট্রাম্প।

ভারতের প্রতিক্রিয়া

এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ভারত সরকার ট্রাম্পের ওই বক্তব্যে তুলনামূলকভাবে মৃদু, তবে শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

ভারতের ওপর ধার্য করা শুল্কহার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপানের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশের চেয়ে বেশি। তবে গত মে মাসে চীনের ওপর আরোপিত ৩০ শতাংশের চেয়ে কিছুটা কম।

বুধবার দেওয়া এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কয়েক মাস ধরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সরকার জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।’

আগস্টের শেষ দিকে দুই দেশের মধ্যে আরেক দফা বাণিজ্য আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুনভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য আলাদা ‘দণ্ড’৩০ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্কে ভারতের অর্থনীতি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কী বলছেন অর্থনীতিবিদেরা১৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ