অভিনেত্রীর কঙ্কাল, গোপন সত্যের খোঁজে এক পুলিশ কর্মকর্তা
Published: 14th, March 2025 GMT
খুনের রহস্য ছাপিয়ে স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গের গল্প, ‘রেখাচিত্রম’ নিয়ে এক লাইনে এভাবেই বলা যায়। আলোচনা যে হচ্ছে মালয়ালম থ্রিলার সিনেমা ‘রেখাচিত্রম’ নিয়ে অনেক পাঠকের এর মধ্যেই তা বুঝে যাওয়ার কথা। কারণ, গত সপ্তাহে ওটিটিতে মুক্তির পর অনেক দেশি দর্শকও মজেছেন এই দক্ষিণি সিনেমায়।
একনজরেসিনেমা: ‘রেখাচিত্রম’
ধরন: ক্রাইম থ্রিলার
অভিনয়: আসিফ আলী, অনস্বরা রাজন ও মনোজ কে জায়ান
পরিচালনা: জোফিন টি চাকো
দৈর্ঘ্য: ১৪০ মিনিট
স্ট্রিমিং: সনি লিভ
অনলাইনে জুয়া খেলার দায়ে পুলিশ কর্মকর্তা বিবেক সাসপেন্ড হন। বহিষ্কারাদেশ কাটিয়ে চাকরিতে যোগদানের পর তাঁকে বদলি করা হয় এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। প্রথম দিনেই এক অভাবনীয় ঘটনার মুখোমুখি হন বিবেক। সেখানকার জঙ্গলে ফেসবুক লাইভে এসে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। তবে নিজেকে গুলি করার আগে তিনি বলে যান, চার দশক আগের এক খুনের কথা। বলে যান সেই তরুণীকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে এ জঙ্গলেই। তাঁর সঙ্গে এই কাজে যুক্ত ছিলেন এমন কয়েকজনের নামও বলে যান। যার মধ্যে একজন এখন খুবই প্রভাবশালী অলংকার ব্যবসায়ী। বিবেক নেমে পড়েন তদন্তে, খোঁড়াখুঁড়ির পর পাওয়া যায় কঙ্কাল। অনেক খোঁজখবরের পর জানা যায়, কঙ্কালটি রেখা নামের এক তরুণীর। কিন্তু কে এই তরুণী? তদন্তে নেমে একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন বিবেক। মোটা দাগে এই হলো সিনেমার গল্প।
গত কয়েক গত বছরে একের পর এক থ্রিলার বানিয়ে চমকে দিয়েছে মালয়ালম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। বেশির ভাগ ছিল খুবই কম বাজেটে নির্মিত। কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত চিত্রনাট্য, নির্মাণ আর অভিনয়ের গুণে সিনেমাগুলো দর্শক ও চলচ্চিত্র সমালোচকদের নজর কেড়েছে। ‘রেখাচিত্রম’ও তেমনি। মাত্র ছয় কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি বক্স অফিসে প্রায় ৬০ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে!
‘রেখাচিত্রম’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫