যেভাবে ফ্রিজ ভালো রাখবেন
ইলেকট্রো মার্ট লিমিটেডের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার মো. জুলহক হোসাইন বলেন, ‘এখনকার রেফ্রিজারেটরে আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এসব প্রযুক্তির কারণে ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণে তেমন ভোগান্তি হয় না। আমাদের বিভিন্ন ফ্রিজে ওয়াইড ভোল্টেজ রেঞ্জ (১২৫ ভি-২৬৫ ভি), ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্টিফাঙ্গাল ডোর গ্যাসকেট, লার্জ ময়েস্ট ফ্রেশ জোন, অ্যাকটিভ কার্বন ডিওডোরাইজার, ভিটামিন ফ্রেশ ও গার্ডেন ফ্রেশ প্রযুক্তি, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রযুক্তি (ন্যানো-স্লিভার প্রযুক্তি), অভ্যন্তরীণ অংশে শতভাগ ফুড গ্রেড উপাদান, ডিইসি সিস্টেম ও ফাস্টার কুলিং ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ফ্রিজ শতভাগ সিএফসি ও এইচসিএফসি গ্যাসমুক্ত। ৩২ হাজার ৮৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫২ হাজার ২২৫ টাকার মধ্যে আমাদের কনকা ব্র্যান্ডের নানা ধরনের প্রযুক্তি–সংযুক্ত রেফ্রিজারেটর রয়েছে।’
আরও পড়ুনফ্রিজ নিয়ে যে ১০ প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখা ভালো২০ এপ্রিল ২০২২খাবারের মান যেভাবে ভালো থাকে
ফ্রিজের কার্যকারিতা ও খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিফাঙ্গাল ডোর গ্যাসকেট ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধ করে, ফ্রিজের ভেতরের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখে দীর্ঘ সময়। ছত্রাকের কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে খাবার। এ প্রযুক্তির ফলে ফ্রিজের দরজা ও অভ্যন্তরীণ অংশে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক জমতে পারে না, ফলে দীর্ঘদিন টাটকা থাকে খাবার। রন্ধনবিদ আফরোজা নাজনীন বলেন, ইফতার ও সাহ্রির খাবার সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ ব্যবহার করুন। ফ্রিজে খাবার রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য সঠিকভাবে ভাগ করে রাখা জরুরি। খাবারদাবার রান্নার পর দুই থেকে তিন ঘণ্টা বাইরে ভালো থাকে। এরপরে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখতে হবে। নয়তো আবহাওয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে।
ঈদের সময় ফ্রিজ নষ্ট হলে ঝামেলায় পড়েন অনেকেই.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া