ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের গর্জনে ফেটে পড়ল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড! ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে হ্যাটট্রিক করলেন অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেস। তার হ্যাটট্রিকে ভর করে ৪-১ ব্যবধানে (দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২) জয়লাভ করে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলো ইউনাইটেড।

দশম মিনিটেই ঝড় উঠে ইউনাইটেড শিবিরে। ডাচ ডিফেন্ডার ম্যাথাইস ডি লিট রিয়াল সোসিয়েদাদের তারকা মিখেল ওইয়ারজাবালকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সুযোগ হাতছাড়া না করে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন ওইয়ারজাবাল, সফরকারীদের এনে দেন আগুয়ান লিড।

তবে ইউনাইটেড দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায়। মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে রাসমুস হজল্যান্ড ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির সুযোগ পায় ইউনাইটেড। স্পট-কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান ফার্নান্দেস।

আরো পড়ুন:

শেষ মুহূর্তে মেসির গোল, কোয়ার্টার ফাইনালে মায়ামি

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রোনাল্ডো নাজারিও

ম্যাচের ৫০ মিনিটে ইউনাইটেডের আরও একটি পেনাল্টির সুযোগ আসে। এ সময় ম্যানইউর প্যাট্রিক ডোর্গুকে রিয়াল সোসিয়েদাদের ডিফেন্ডার আরিতজ এলুস্তোন্দোর ফাউল করলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত হয়। ফার্নান্দেস দ্বিতীয়বারের মতো সফল স্পট-কিক নেন এবং ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন।

৬৩ মিনিটে ম্যাচ আরও কঠিন হয়ে যায় সোসিয়েদাদের জন্য। ডোর্গুকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জন আরামবুরু। ১০ জনের দলে পরিণত হয় অতিথিরা, আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে এক মুহূর্তও দেরি করেনি ইউনাইটেড।

শেষ বাঁশি বাজার আগেই আরও দুটি গোল আসে ইউনাইটেডের পক্ষে। ৮৭ মিনিটে নিচু শটে বল জালে জড়িয়ে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। যোগ করা সময়ে (৯০+১) চতুর্থ গোলটি করেন তার পর্তুগিজ সতীর্থ দিয়েগো দালত।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য এটি শুধু একটি জয় নয়, এটি ছিল আত্মবিশ্বাসের পুনর্জাগরণ। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের ক্লাব লিওঁর বিপক্ষে তারা কি পারবে এই ফর্ম ধরে রাখতে? সময়ই দেবে উত্তর!

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক য় র ট র ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ