ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স লিগের সেমিফাইনালে ব্যাট হাতে ফের বাজিমাত করলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। রায়পুরের শহিদ বীর আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত ভারত মাস্টার্স ও অস্ট্রেলিয়া মাস্টার্সের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যুবরাজের বিধ্বংসী ব্যাটিং বিশ্বকে আবারও মনে করিয়ে দিল তার সোনালী দিনের কথা।

ভারত মাস্টার্সের ইনিংস যখন একটু চাপে, তখনই যুবরাজ সিং নামেন ক্রিজে। আর নামার পর থেকেই শুরু হয় ছক্কা-চারের ঝড়। মাত্র ৩০ বলে ৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলের বড় সংগ্রহ গড়ার ভিত তৈরি করে দেন তিনি। তার স্ট্রাইক রেট ছিল একেবারে বিস্ফোরক—১৯৬.

৬৭! ৭টি ছক্কা ও ১টি চারের সাহায্যে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের তুলোধুনো করেছেন যুবি।

টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। ভারত মাস্টার্স ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কিছুটা চাপে পড়লেও অভিজ্ঞ শচীন টেন্ডুলকার এগিয়ে আসেন দলকে টানতে। মাত্র ৩০ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে তিনি দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। এরপর যুবরাজের তাণ্ডব শুরু হয়। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্টুয়ার্ট বিনি (২১ বলে ৩৬), ইউসুফ পাঠান (১০ বলে ২৩) ও ইরফান পাঠান (৭ বলে ১৯) ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহকে ২২০ রানে পৌঁছে দেন।

আরো পড়ুন:

মার্চ তো বটেই, এপ্রিলের শুরুতেও বুমরাহকে পাবে না মুম্বাই

প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের দিন

জবাব দিতে নেমে ১৮.১ ওভারে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া মাস্টার্স। ৯৪ রানের দারুণ জয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ইন্ডিয়া মাস্টার্স।

অস্ট্রেলিয়ার বেন কাটিং ৩০ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। ২১টি করে রান করেন সাথান রেয়ারডন, বেন ডাঙ্ক ও শন মার্শ।

বল হাতে ভারতের শাহবাজ নাদিম ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৫ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। যুবরাজকে ছাপিয়ে ম্যাচসেরাও হন তিনি। বিনয় কুমার ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে ২টি ও ইরফান পাঠান ৩.১ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বর জ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ