আবার মাঠে নামতে যাচ্ছে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের ফুটবল পরাশক্তিরা। চলতি মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে তারা। ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এবার বাড়তি উত্তেজনা নিয়ে এসেছে সুপার ক্লাসিকো। যেখানে আগামী ২৬ মার্চ মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।

তবে এই ম্যাচের আগে ভারী দুশ্চিন্তায় আছে ব্রাজিল দল। নিষেধাজ্ঞা শঙ্কায় রয়েছেন তাদের ১০ তারকা ফুটবলার। সেই তালিকায় আছেন রদ্রিগো, রাফিনিয়া, নেইমার ও ভিনিসিউস জুনিয়রের মতো তারকারা।

কনমেবল নিয়ম অনুযায়ী বাছাইপর্বে দুই হলুদ কার্ড দেখলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে হয়। ইতোমধ্যেই একবার করে হলুদ কার্ড দেখেছেন নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়র, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রাফিনিয়া, রদ্রিগো,  এডারসন মোয়ারেস, গ্যাব্রিয়েল মাগালায়েস, ব্রুনো গুইমারেস, আন্দ্রে, দানিলো ও ম্যাথিউস কুনহা।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রোনাল্ডো নাজারিও

আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের দল ঘোষণা, ফিরলেন নেইমার

আগামী ২১ মার্চ ব্রাসিলিয়ার গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। এই ম্যাচেই যদি হলুদ কার্ড দেখে বসেন উক্ত দশ খেলোয়াড়ের কয়েকজন, তাহলে সুপার ক্লাসিকোতে খেলার সুযোগ হারাবেন তারা। বিশেষ করে নেইমার, ভিনিসিয়ুস, রাফিনিয়া ও রদ্রিগোর মতো খেলোয়াড়দের যদি সুপার ক্লাসিকোতে না পাওয়া যায় তাহলে অনেকটা আকর্ষণ হারাবে লড়াইটি।

তাইতো, ঘরের মাঠে কলম্বিয়ার বিপক্ষে রয়ে-সয়ে খেলতে হবে নেইমারদের। এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত কার্ড না দেখে কোন কোন তারকা মাঠ ছাড়তে পারেন সেটা দেখার বিষয়।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।

যেমন–

পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা  আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়। 

ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।

রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।

নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে। 

বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস

সম্পর্কিত নিবন্ধ