তামিমদের কাছে পাত্তাই পাননি আকবর-আফিফরা
Published: 15th, March 2025 GMT
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। এবারের ঢাকা লিগে দুটি ক্লাবই শক্তিশালী দল গড়েছিল। কিন্তু লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও ছিল না। তামিম ইকবালের দলের সামনে এক প্রকার অসহায় আত্মসমর্পণ করে আকবর আলীর দল।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় শনিবার (১৫ মার্চ, ২০২৫) মুখোমুখি হয় মোহামেডান-রূপগঞ্জ। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৫৩ রান করে মোহামেডান। টার্গেটে খেলতে নেমে ১৫৯ রানে অলআউট হয় রূপগঞ্জ।
৯৪ রানে জয় পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান। পঞ্চম ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ জয়। অন্যদিকে সমান ম্যাচে রূপগঞ্জের এটি দ্বিতীয় হার।
আরো পড়ুন:
মুশফিকুরের বিদায়ে আবেগের বিচ্ছুরণ, গর্বের ঝরনাধারা
মুশফিকুরের থেকে তামিমের চাওয়া ‘অন্তত ১০০ টেস্ট’
তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রূপগঞ্জ। ১৯ রানে দলটি প্রথম উইকেট হারায়। ৫১ রান না হতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। শুরুর পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে আফিফ হোসেন ধ্রুব সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন।
এরপর জাকের আলী অনিক এগোতে থাকেন শেখ মেহেদী হাসানকে নিয়ে। দুজনে এগোতে থাকেন প্রতিরোধ গড়ে। জুটির ফিফটির পর অবশেষে ছন্দপতন ঘটে। ৪৬ বলে ২৫ রান করে জাকের ফিরলে ভাঙে ৫৮ রানের জুটি।
অন্য প্রান্তে থাকা মেহেদী লড়াই শুরু করেন তানজীম হাসান সাকিবকে নিয়ে। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারলেন না। সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তাসকিন বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান মেহেদীকে। তানজীম থামেন ১১ রানে। মিরাজ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। তাসকিন নেন ২ উইকেট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২৫৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মোহামেডান। দারুণ শুরু হলেও আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল এবার ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। জুটি ভাঙে ৪৮ রানে।
রনি তালুকদারের সঙ্গী হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। রনি ৩৬ রানে ফেরায় দুজনের জুটি লম্বা হয়নি। নতুন ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় অঙ্কনের সঙ্গী হন। দুজনে এগোতে থাকেন সাবলীলভাবে। সচল রাখেন রানের চাকা। হঠাৎ অঙ্কনের ছন্দপতন ঘটে।
ফিফটির কাছে গিয়ে ফেরেন অঙ্কন। ৪২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। অঙ্কন ফিফটির দেখা না পেলেও হৃদয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন। ৭৬ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ইনিংসটি সাজান হৃদয়।
এরপর আর কোনো ব্যাটার সুবিধা করতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫ রান করেন। মুশফিকুর রহিম ১ রান করেন মাত্র। শেষে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।
রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটগুলো নেন তিনি। এ ছাড়া তানজীম হাসান সাকিব নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদী হাসান, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌম্য সরকার।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল র ন কর ন র পগঞ জ উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।
বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান।
শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।