ময়মনসিংহে ড্রেজার দিয়ে মাটি খুঁড়তে বেরিয়ে এল রাইফেলের বুলেট
Published: 15th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় একটি পুকুর খনন করতে গিয়ে বেশ কিছু রাইফেলের বুলেট পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় আজ দুপুরে ৬০টি বুলেট উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এখলাছ উদ্দিন ও তাঁর ভাইদের ৭৫ শতক জমিতে পুকুর খননের জন্য ড্রেজার দিয়ে মাটি তোলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মাটি সরানোর সময় সাত-আট ফুট নিচে যেতেই বুলেট বের হতে থাকে। ওই দিন শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে চলে গেলে শুক্রবার আর কাজ হয়নি। কিন্তু কিছু শিশু শুক্রবার সেখান থেকে মাটি খুঁড়ে বুলেট বের করে। বুলেটগুলো শিশুরা তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। শনিবার বেলা একটার দিকে বুলেটের খবর পেয়ে থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে আশপাশের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৬০টি বুলেট উদ্ধার করা হয়। তবে বুলেটগুলো কারা, কেন রেখেছিল, তা জানতে পারেনি পুলিশ।
গোয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ড্রেজার বসিয়ে পুকুর খনন করে মাটি সরাচ্ছিলেন শ্রমিকেরা। ওই অবস্থায় বুলেট পাওয়া যায়। কিন্তু বিষয়টি আজ সকালে জানতে পেরে পুলিশকে জানানো হয়। বুলেটগুলো বেশ পুরোনো। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। তবে পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য জানা যাবে।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬০টি রাইফেলের বুলেট উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, বুলেটগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়কার হতে পারে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলা সম্ভব হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।