গত কয়েক বছরে জম্বি সিনেমা ও সিরিজে মুনশিয়ানা দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। হালের এই জম্বি বিপ্লবের শুরুটা যে ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ট্রেন টু বুসান’ দিয়ে, সেটা বলে না দিলেও চলে। এর পর থেকে দেশটিতে নানা ধরনের জম্বি হাজির হয়েছে পর্দায়; সিনেমা দুনিয়ায় তো ‘কে-জম্বি’ নামে আলাদা ঘরানাই তৈরি হয়ে গেছে। এখন আলোচনা চলছে নতুন জম্বি সিরিজ ‘নিওটোপিয়া’ দিয়ে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি অ্যামাজন প্রাইমে প্রিমিয়ার হয় সিরিজটির। এর পর থেকেই সারা দুনিয়ার তরুণ দর্শকেরা মজেছেন এই জম্বি সিরিজে।

তবে জম্বি সিরিজ হলেও নিওটোপিয়ায় আছে বেশ কিছু নতুন ব্যাপার-স্যাপার। সিরিজটি তৈরি হয়েছে হান সাং-উনের উপন্যাস ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা’ অবলম্বনে। ‘নিওটোপিয়া’ মূলত রোমান্টিক ফ্যান্টাসি সিরিজ, হরর ও কমেডির মিশ্রণ এটিকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। সমালোচকেরা বলছেন, বেশ কিছু দুর্বলতা থাকলেও সিরিজটি এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে জম্বি নিয়ে রোমান্টিক-কমেডির মতো তরতাজা আইডিয়ার কারণেই। অনেক সমালোচক এটিকে ‘রম-কম’ না বলে ‘জম-কম’ও বলছেন।

‘নিউটোপিয়া’র দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ