৭২ ঘণ্টার বিরতি না পেলে ম্যাচ বর্জনের হুমকি রিয়াল মাদ্রিদের
Published: 16th, March 2025 GMT
টানা ম্যাচ খেলার ধকল নিয়ে ফের সরব রিয়াল মাদ্রিদ। মাত্র ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে গিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। এমন সূচিকে ‘অযৌক্তিক ও অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন—ভবিষ্যতে এত কম সময়ের ব্যবধানে আর খেলবে না তার দল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ শেষ হতে না হতেই লা লিগায় মাঠে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার রাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেলেও কোচের ক্ষোভ যেন চাপা থাকেনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেন, ‘আজই শেষবারের মতো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাচ খেলেছি। এখন থেকে যদি অন্তত ৭২ ঘণ্টার বিরতি না থাকে, তাহলে আমরা আর মাঠে নামব না।’
তিনি আরও জানান, সময়সূচি পরিবর্তনের অনুরোধ লা লিগা কর্তৃপক্ষকে দুবার জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ‘আমরা বারবার বলেছি, কিন্তু কেউ শোনেনি। এবার আমরা আর চুপ থাকব না,’ বলেন আনচেলত্তি।
টানা ম্যাচ খেলার ধকল কেবল কোচের নয়, খেলোয়াড়দের বিরক্তির কারণও। সম্প্রতি বেলজিয়ামের তারকা কেভিন ডি ব্রুইন খেলোয়াড়দের ‘টাকার মেশিন’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। একইভাবে রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও অন্যান্য তারকারাও ক্লান্তির কথা প্রকাশ করেছেন। অনেকে তো আগেভাগেই জাতীয় দল থেকে অবসর নিচ্ছেন বিশ্রামের খোঁজে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’