বেশির ভাগ ব্যান্ড, কণ্ঠশিল্পী, মিউজিশিয়ানদের আগে গানের লিরিক্যাল ভিডিও প্রকাশ করতে দেখা যায়। এরপর মডেল কিংবা তারকাদের নিয়ে তৈরি করা মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেন তারা। কিন্তু এবার উল্টো পথে হাঁটতে দেখা গেল শিরোনামহীন ব্যান্ডের সদস্যদের। মিউজিক ভিডিওর পর আলাদা করে লিরিক্যাল ভিডিও প্রকাশ করে নতুন এক উদাহরণ তৈরি করল শিরোনামহীন।
গত ১৩ মার্চ নিজস্ব চ্যানেলে আবারও তারা প্রকাশ করেছে ব্যান্ডের সাড়া জাগানো গান ‘প্রিয়তমা’। এবার হাসিবুল হকের মোশন গ্রাফিক্সে মাহতাব মাহফুজ নতুন করে নির্মাণ করেছেন অ্যানিমেটেড লিরিক্যাল ভিডিও; যা এরই মধ্যে অনেকেই পছন্দ করেছেন। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি শিরোনামহীনের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে ‘প্রিয়তমা’ গানটির ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রকাশের পর স্বল্প সময়ের মধ্যে গানটি শ্রোতাদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
‘প্রিয়তমা, চোখে চোখ রেখে; কথা হোক নীরবে/ কিছু কথা এভাবেই নির্বাক, একান্তে নিবিড়ে/ ঝাঁঝালো বাতাসে বেদনায় নীল ঠোঁট, অজস্র বেলিফুল হাতে অভিমান/ ম্রিয়মাণ বিকেলে, পৃথিবীর মিথ্যে স্বপ্নের আড়ালে/ অযথাই কি নিভে যায় আলো, দিনের শেষে’– এমন কথায় সাজানো গানটি লিখেছেন ব্যান্ডের বেজ গিটারিস্ট ও দলনেতা জিয়াউর রহমান।
সুর করার পাশাপাশি গানের ভিডিও পরিচালনা করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী শাফিন আহমেদ। ব্যান্ডের এই দুই সদস্যের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে গানের সংগীতায়োজন করেছেন পিয়ানিস্ট সাইমন চৌধুরী ও লিড গিটারিস্ট সুদীপ্ত সিনহা দিপু। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শেখ ইশতিয়াক।
‘প্রিয়তমা’ গানটি স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দুইভাবে প্রকাশ করা নিয়ে শিরোনামহীন সদস্যরা জানান, সৃষ্টিতে নিজস্ব ভাবনা তুলে ধরা আর শ্রোতাদের ভালো লাগা, মন্দ লাগাকে ঘিরেই তাদের সব আয়োজন। সে কারণেই ‘প্রিয়তমা’ গানটির লিরিক্যাল ভিডিও আলাদাভাবে প্রকাশ করা। এর বাইরে আলাদা কোনো কারণ নেই। গানটি ভালো লাগলেই তাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক হয়ে উঠবে বলেই তারা মনে করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
চারঘাটের নন্দনগাছীতে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির (স্টপেজ) দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ।
এ সময় আন্দোলনকারীরা স্টেশন সংস্কার ও আন্তনগর ট্রেন থামানোর দাবি-সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন তুলে ধরেন। বেলা একটার দিকে কর্মসূচি শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দাবির মধ্যে ছিল সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং স্টেশনের সংস্কার।
১৯২৯ সালে উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনটি স্থাপিত হয় নিমপাড়া ইউনিয়নের বরকতপুর এলাকায়, যা নন্দনগাছী স্টেশন নামে পরিচিত। শতবর্ষী স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে। নিয়ম অনুযায়ী এই স্টেশনে স্টেশনমাস্টার, টিকিট মাস্টার, পোর্টারম্যান, পয়েন্টসম্যান, গেটম্যানসহ জনবল ছিল ১২ জন। বর্তমানে শুধু পোর্টারম্যান পদে একজন কর্মরত আছেন। শুধু দুটি লোকাল ট্রেন সেখানে থামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধে অংশ নেওয়া লোকজন ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে ট্রেন থামানোর দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীগামী একটি মেইল ট্রেন এলে স্টেশনে প্রবেশের আগেই জাতীয় পতাকা ও লাল পতাকা নিয়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেন আন্দোলনকারী। তাঁরা ট্রেনের চালকের রুমে গিয়ে ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেন। তাঁরা কেউ রেললাইনে, কেউ ট্রেনের ছাদে উঠে আবার কেউ প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নেন। প্রায় ১০-১২ মিনিট পর ট্রেনটিকে যেতে দেওয়া হয়।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসে চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ট্রেন বরেন্দ্র এক্সপ্রেস। নন্দনগাছী রেলস্টেশনে ট্রেনটির নির্ধারিত যাত্রাবিরতি নেই। তবে দাবি আদায়ের জন্য রেললাইনে সাধারণ লোকজন অবস্থান নেওয়ায় ট্রেন দুটি সেখানে থামতে বাধ্য হয়। প্রায় ১৫ মিনিট ট্রেনটিকে আটকে থাকার পর আবু সাইদ চাঁদের সহযোগিতায় ট্রেনটি সেখান থেকে রাজশাহীর দিকে রওনা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে