মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন বন্ধ করার জন্য তেহরানকে সতর্ক করার পর ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানিয়েছে, যেকোনো আক্রমণের ‘চূড়ান্ত’ জবাব দেওয়া হবে।

শনিবার ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের জন্য হুতিদের হুমকির অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র ‘নির্ধারক এবং শক্তিশালী সামরিক পদক্ষেপ’ শুরু করেছে এবং বিদ্রোহীদের প্রতি ইরানের সমর্থন ‘অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’ 

রবিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইরানি গার্ডস প্রধান হোসেইন সালামি ট্রাম্পের হুমকির নিন্দা করে বলেছেন, “ইরান যুদ্ধ করবে না, তবে কেউ হুমকি দিলে যথাযথ, নিষ্পত্তিমূলক এবং চূড়ান্ত জবাব দেবে।”

কমান্ডার হুথিদের ‘ইয়েমেনিদের প্রতিনিধি’ বলে অভিহিত করে আরো বলেন, এই গোষ্ঠীটি তাদের ‘কৌশলগত এবং কর্মক্ষম সিদ্ধান্ত’ স্বাধীনভাবে নেয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, আমেরিকা বাগদাদে একটি ড্রোন হামলা চালায়। তাতে ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি নিহত হন। এ ঘটনার কয়েকদিন পর, ইরান ইরাকে আমেরিকান এবং অন্যান্য জোট সেনাদের আবাসস্থলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে প্রতিশোধ নেয়। অবশ্য ওই হামলায় কোনো মার্কিন কর্মী নিহত হয়নি। তবে ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, কয়েক ডজন লোক মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ