অগ্নিপরীক্ষায় অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন
Published: 17th, March 2025 GMT
ইউরোপের লিগগুলো শেষের পথের যাত্রা শুরু করেছে। শিরোপা নির্ধারণের পথও ফুরিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত। এই সময়ে প্রতিটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই ম্যাচটি যদি হয় শিরোপার দৌড়ে থাকা কোনো দলের বিপক্ষে, তাহলে তো কথাই নেই।
স্প্যানিশ লা লিগায় রোববার (১৬ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা মুখোমুখি হয়। মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামের এই ম্যাচটি বার্সেলোনার জন্য ছিল অগ্নিপরীক্ষা। শীর্ষস্থান ধরে রাখতে, শিরোপা জয়ের দৌড়ে এগিয়ে যেতে ম্যাচটা ছিল মহামূল্যবান।
কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৪৫ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের গোলে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো, পিছিয়ে পড়ে কাতালানরা। বিরতির পর ৭০ মিনিটে আলেক্সান্ডার সোরলোথের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে অ্যাটলেটিকো।
আরো পড়ুন:
সদ্য প্রয়াত চিকিৎসককে জয় উৎসর্গ করল বার্সা
দশ জনের বার্সার বিপক্ষে হারল বেনফিকা
৭০ মিনিটের মাথায় গিয়ে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনা অ্যাটলেটিকোর মাঠে এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে, প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখবে, সেটা হয়তো ভাবেনি কেউ। কিন্তু সবার ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে অগ্নিপরীক্ষার ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বার্সা।
৭২ মিনিটের মাথায় রবার্ত লেভানডোফস্কির গোলে ব্যবধান কমায় হানসি ফ্লিকের শিষ্যরা। ৭৮ মিনিটে ফেরান তোরেসের গোলে ফেরে সমতা। আর ৯০+২ মিনিটের মাথায় লামিনে ইয়ামাল গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ৯০+৮ মিনিটের মাথায় তোরেস তারা জোড়া গোল পূর্ণ করে বার্সেলোনাকে উপহার দেন ৪-২ ব্যবধানের অবিশ্বাস্য এক জয়।
যে জয় বার্সেলোনাকে কেবল অগ্নিপরীক্ষার ম্যাচে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্পই লিপিবদ্ধ করায়নি, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানও সংহত করেছে।
২৭ ম্যাচ থেকে ৬০ পয়েন্ট ও +৪৮ গোল গড় নিয়ে যথারীতি কাতালানরা আছে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। ২৮ ম্যাচ থেকে ৬০ পয়েন্ট ও +৩২ গোল গড় নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর ২৮ ম্যাচ থেকে ৫৬ পয়েন্ট ও +২৪ গোল গড় নিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ আছে তৃতীয় স্থানে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল অব শ ব স য
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় ৩৫ দিন ধরে নিখোঁজ ব্যক্তির গলিত লাশ পাওয়া গেল সেপটিক ট্যাংকে
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় নিখোঁজের এক মাসের বেশি সময় পর করিম ভূঁইয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রসুলপুর গ্রামে গোমতী নদীর সংযোগ খালের ওপর নির্মিত সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় কৃষক ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে করিমের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৪০), দুই ছেলে তানজিদ ভূঁইয়া (২২) ও তৌহিদ ভূঁইয়া (২০), স্ত্রীর ভাই মোজাম্মেল হক (৪২), ইশরাফিলসহ (৩৮) ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন করিম ভূঁইয়া। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা প্রচার করতে থাকেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খড়মপুরে অবস্থিত হজরত সৈয়দ আহম্মদ (রহ.)-এর দরগায় যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ। এ ঘটনায় করিমের বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া ১৬ আগস্ট দেবীদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আমিরের মুঠোফোন নম্বরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কল আসে। ওই ব্যক্তি আমিরকে জানান, করিমের শ্বশুরবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় খোঁজ করলে তাঁকে (করিম ভূঁইয়া) পাওয়া যাবে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে রসুলপুর গ্রামে করিমের শ্বশুরবাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। একপর্যায়ে করিমের শ্বশুরের পরিবারের নির্মাণাধীন একটি সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খোলা হয়। সেখানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূঁইয়ার গলিত লাশ দেখতে পান তাঁরা।
করিমের স্ত্রী তাছলিমা, দুই ছেলে ও স্ত্রীর দুই ভাই মিলে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন আমির হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পরিবারের লোকজন থানায় কোনো জিডি করেনি, আমি নিজে থানায় গিয়ে জিডি করি। সর্বশেষ আজ ভাইয়ের গলিত লাশ পেলাম।’
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে। আটক ছয় ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।