তাসকিনের ‘সেঞ্চুরি’তে নতুন রেকর্ড
Published: 18th, March 2025 GMT
তাসকিন আহমেদ সেঞ্চুরি করেছেন! তা তিনি করতেই পারেন, ব্যাটিং তো মোটামুটি পারেনই। তবে ব্যাট হাতে নয়, বাংলাদেশের জাতীয় দলের পেসার সেঞ্চুরি করেছেন বল হাতে রান বিলানোর। বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে রান বিলানোর সেঞ্চুরি করা তাসকিন নতুন রেকর্ডও গড়েছেন।
বিকেএসপিতে আজ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ১০ ওভারে ১০৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোহামেডানের তাসকিন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো বোলারের যা সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিংয়ের রেকর্ড। তাসকিনের উদারতায় মোহামেডানের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান করেছে গাজী গ্রুপ। অধিনায়ক এনামুল হক ১৪৩ বলে করেছেন সর্বোচ্চ ১৪৯ রান।
এত দিন লি ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলারদের সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডটা ছিল ১০৪। ২০১০ সালে বেনোনিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১০৪ রান দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পেসার শাহাদাত হোসেন। ১৪ বছর পর ২০২৪ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই আবাহনীর বিপক্ষে ৯ ওভারে ১০৪ রান দেন গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির পেসার ইকবাল হোসেনও।
সব মিলিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবচেয়ে খরুচে বোলিংটা নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিডা। ২০২৩ বিশ্বকাপে দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ উইকেট নিতে ১১৫ রান খরচ করেন তিনি। খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় তাসকিনের আজকের ঘটনাটি আছে ১১তম স্থানে।
গাজী গ্রুপের বিপক্ষে প্রথম ওভারেই বোলিংয়ে আসেন তাসকিন আহমেদ। ওই ওভারে তাঁকে একটি চারই মারতে পারেন ওপেনার সাদিকুর রহমান। প্রথম স্পেলে তিন ওভার করে তাসকিন অবশ্য খরচ করেন ৩৩ রান।
আবার ২৫তম ওভারে তাসকিনকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মোহামেডান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এবার প্রথম ওভারে ১২ রান দিলেও দ্বিতীয়টিতে এসে গাজী গ্রুপের ১৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন। এই দফায় তিন ওভার বল করে ২১ রান দেন।
৩৯তম ওভারে তৃতীয় স্পেলে দুই ওভার করেন তাসকিন। ৮ রান দিয়ে শামসুর রহমানকে বোল্ড করেন। প্রথম ৮ ওভারে ৬২ রান দিয়ে দুই উইকেট পান। কিন্তু শেষ দুই ওভারেই তাঁর ওপর মারমুখী হন গাজী গ্রুপের ব্যাটসম্যানরা।
৪৬তম ওভারে তিন চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রান নেন তোফায়েল আহমেদ ও এনামুল হক। এক ওভার পর নিজের শেষ ওভারটি করতে এসে ২ ছক্কা ও ১ চার হজম করে ২০ রান দেন। এই ওভারে অবশ্য ২৯ বলে ৬৩ রান করা তোফায়েল আহমেদ তাঁর বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানে থামে গাজী গ্রুপ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড প রথম উইক ট আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট