বাগেরহাট সরকারি শিশু পরিবারে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, আবাসন অব্যবস্থাপনা, শিশুদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট শহরতলীর দশানীর পচাদিঘির পাড়ে অবস্থিত সরকারি শিশু পরিবারে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদকের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.

সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চলে। অভিযানে সরকারি বরাদ্দের তুলনায় কম পরিমাণে ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, শিশুদের জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নির্ধারিত সময়ে না দেওয়া, ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা না পাওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত ভাতা কর্তৃপক্ষ আত্মসাৎসহ একাধিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

শিশু পরিবারের কয়েকজন কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের খাবারের মান খুব খারাপ। নির্ধারিত সময়েও নতুন জামাকাপড়, মশারি, বালিশ বা তোশক দেওয়া হয় না। চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি। এমনকি ইফতারেও আমাদের কম খাবার দেওয়া হয়।”

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, “আমরা অনেক অনিয়মের তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়েছি। সরকারি এতিমখানায় এমন অব্যবস্থাপনা দুঃখজনক। তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। শিশুদের দিয়ে রান্নার কাজ করানো হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে পাওয়া কাগজপত্র ও তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।”

তিনি আরো জানান, শিশুদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ পর ব র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ