টঙ্গীতে ‘সুখী সেবাকেন্দ্র’র উদ্বোধন
Published: 18th, March 2025 GMT
টঙ্গীর তনিমা মেডিসিন হাউসে সোমবার ‘সুখী সেবাকেন্দ্র’ উদ্বোধন করা হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্মত ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশনস (জিডিএইচএস) এবং তুর্কিস কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (টিআইকেএ) যৌথ উদ্যোগে এই সেবাকেন্দ্র করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চালু করা সুখী সেবাকেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে রোগীরা পাবেন ২০ টাকায় তাৎক্ষণিক ডাক্তারের পরামর্শ, বিশিষ্ট চিকিৎসকদের পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞ সেবা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সহায়তা, ডায়াগনস্টিক ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ, নিকটস্থ সার্জারি রেফারেল এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ ও সহায়তা। প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার ফার্মেসির সঙ্গে সুখী সেবাকেন্দ্রের অংশীদারত্ব গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে ৫০ হাজার ফার্মেসিতে সম্প্রসারণ করা হবে।
উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ আরমান সিদ্দিকী, চিফ টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ সোলায়মান, পার্টনারশিপ লিড (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) ফাহরীন হান্নান এবং তুর্কিস কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সির পরিচালক সেভকি মারথ বারিস, মুহাম্মদ আলী আর্মগান, সহকারী সমন্বয়ক এবং পরিচালকের সহকারী মনজুর এলাহী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সুখী সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে সারা দেশে আধুনিক ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার যাত্রা শুরু হলো। আগামী দিনে এই উদ্যোগ দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত বর্তমানে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই পরিপ্রেক্ষিতে অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ও বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করছে জিডিএইচএস। এরই ধারাবাহিকতায় ‘স্বাস্থ্যসেবার সব সমাধান’ স্লোগান নিয়ে চালু করা হয় বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্ম ‘সুখী’।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জবিতে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস-বিষয়ক সেমিনার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস (আইপিআর): ফস্টারিং ইনোভেশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস কনফারেন্স রুমে এ সেমিনারের আয়োজন করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)।
আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েকের সভাপতিত্বে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক মেজবাহ-উল-আজম সওদাগরের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক বলেন, “আইপিআর উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো হিসেবে কাজ করে। এটি উদ্ভাবকদের পেটেন্ট, কপিরাইট এবং ট্রেডমার্কের মতো মেধাসম্পদের ওপর আইনি অধিকার নিশ্চিত করে। যার ফলে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ে।”
তিনি আরো বলেন, “ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং বিষয়বস্তুর ওপর মতামত বিনিময় করেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী