টঙ্গীর তনিমা মেডিসিন হাউসে সোমবার ‘সুখী সেবাকেন্দ্র’ উদ্বোধন করা হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্মত ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশনস (জিডিএইচএস) এবং তুর্কিস কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (টিআইকেএ) যৌথ উদ্যোগে এই সেবাকেন্দ্র করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চালু করা সুখী সেবাকেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে রোগীরা পাবেন ২০ টাকায় তাৎক্ষণিক ডাক্তারের পরামর্শ, বিশিষ্ট চিকিৎসকদের পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞ সেবা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সহায়তা, ডায়াগনস্টিক ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ, নিকটস্থ সার্জারি রেফারেল এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ ও সহায়তা। প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার ফার্মেসির সঙ্গে সুখী সেবাকেন্দ্রের অংশীদারত্ব গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে ৫০ হাজার ফার্মেসিতে সম্প্রসারণ করা হবে।

উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ আরমান সিদ্দিকী, চিফ টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ সোলায়মান, পার্টনারশিপ লিড (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) ফাহরীন হান্নান এবং তুর্কিস কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সির পরিচালক সেভকি মারথ বারিস, মুহাম্মদ আলী আর্মগান, সহকারী সমন্বয়ক এবং পরিচালকের সহকারী মনজুর এলাহী।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সুখী সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে সারা দেশে আধুনিক ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার যাত্রা শুরু হলো। আগামী দিনে এই উদ্যোগ দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত বর্তমানে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই পরিপ্রেক্ষিতে অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ও বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করছে জিডিএইচএস। এরই ধারাবাহিকতায় ‘স্বাস্থ্যসেবার সব সমাধান’ স্লোগান নিয়ে চালু করা হয় বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্ম ‘সুখী’।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ হাজার টাকার শুল্কের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়: শওকত আজিজ

ব্যবসা-বাণিজ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্রমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, একসময় বিটিএমএ যন্ত্রাংশ আমদানি করত। যথাযথ হারে শুল্কও দেওয়া হতো। এ নিয়ে বিতর্ক হয়নি। ছাড়পত্র বিটিএমএর পক্ষ থেকেই দেওয়া হতো।

কিন্তু এনবিআর পুরো বিষয়টি নিজের হাতে নেওয়ার পর জটিলতা বেড়েছে। প্রতিটি ধাপে ছাড়পত্র নিতে হয়। সেই সঙ্গে দেখা যায়, ৩০ হাজার টাকা শুল্ক কর জমা দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। এ বাস্তবতায় তাঁর পরামর্শ, এনবিআর নিজের সম্পদ গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করুক।

আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে আগামী অর্থবছরের বাজেট–সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এসব কথা বলেন শওকত আজিজ।
এক পণ্যের একাধিক এইচএস কোড আছে বলে মন্তব্য করেন শওকত আজিজ। এ সমস্যা দূর করে এক পণ্য এক এইচএস কোডের অধীন নিয়ে আসা উচিত বলে মত দেন তিনি।

করপোরেট কর প্রসঙ্গে বিটিএমএর প্রস্তাব, দেশের তৈরি পোশাক খাতে যে ১২ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে, তাদের জন্যও সেই একই হারে করারোপ করা হোক। বস্ত্র ও পোশাক খাত পরস্পরের পরিপূরক। ফলে তাদের এ প্রস্তাব অযৌক্তিক নয় বলেই মনে করেন শওকত আজিজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩০ হাজার টাকার শুল্কের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়: শওকত আজিজ