ছবিতে থাকা জলছাপ মুছে ফেলতে পারে জেমিনি এআই, মেধাস্বত্ব নিয়ে উদ্বেগ
Published: 21st, March 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন বিষয়ের ছবি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায়। কিন্তু এর মাধ্যমে ভুয়া ছবি তৈরি করছেন অনেকেই। তাই বিষয়টি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে প্রযুক্তি-দুনিয়ায়। এ সমস্যা সমাধানে কেউ অনলাইনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ছবি পোস্ট করলেই সেগুলোতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জলছাপ যুক্ত করে দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শুধু তা–ই নয়, নিজেদের তৈরি ছবির মেধাস্বত্ব নিশ্চিত করতেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছবিতে জলছাপ যুক্ত করে থাকে। কিন্তু গুগলের জেমিনি এআই চ্যাটবট কাজে লাগিয়ে সহজেই ছবিতে থাকা জলছাপ মুছে ফেলা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তৈরি ছবিগুলো চিনতে সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ছবি ব্যবহারের কারণে মেধাস্বত্ব আইন ভঙ্গের আশঙ্কা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনগুগল ফটোজে সম্পাদনা করা ছবি চেনাতে নতুন যে সুবিধা চালু হচ্ছে০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সম্প্রতি খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্স (সাবেক টুইটার) এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটের একাধিক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, জেমিনি ২.
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেমিনি ২.০ ফ্ল্যাশের পরীক্ষামূলক ছবি তৈরির সুবিধাটি অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির তুলনায় নিখুঁতভাবে জলছাপ মুছে ফেলতে পারে। তবে গুগল জানিয়েছে, জেমিনি ২.০ ফ্ল্যাশের ছবি তৈরির সুবিধাটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। বর্তমানে এ প্রযুক্তি শুধু সীমিত কিছু ডেভেলপার ব্যবহার করতে পারছেন।
আরও পড়ুনএআইয়ে তৈরি ছবি শনাক্ত করবেন কীভাবে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি ছবি ও লেখা শনাক্তের জন্য গুগল ইতিমধ্যে কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালে গুগল ডিপমাইন্ড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি লেখা শনাক্ত করতে সিনথআইডি টেক্সট নামের জলছাপ দেওয়ার টুল চালু করে। গত মাসে গুগল ঘোষণা দেয়, তাদের গুগল ফটোজ অ্যাপে সিনথআইডি প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সম্পাদিত ছবি শনাক্ত করতে পারবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুনকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ছবি বিভ্রান্তি তৈরি করছে যেভাবে০১ অক্টোবর ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত ব যবহ র ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিশেষ অনুষ্ঠান
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, যুবসমাজ শুধু আমাদের ভবিষ্যৎই নয়, বাংলাদেশে তারা আমাদের ‘বর্তমান’। এক বছর আগে, তাদের হাত ধরেই সমতা, স্বচ্ছতা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের দাবি সার্বজনীন জন-আকাঙ্ক্ষায় রূপ নেয়।
আরো পড়ুন:
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার সিদ্ধান্ত সরকারের বড় অসতর্কতা: মঞ্জু
গাজাকে নিশ্চিহ্ন করার কোনো ন্যায্যতা থাকতে পারে না: গুতেরেস
তৌহিদ হোসেন আরো বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য- সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার।
তিনি তার বক্তব্যে বিগত এক বছরে বর্তমান সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতাকে বৈশ্বিক বাস্তবতার সঙ্গে অত্যন্ত সঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন বলেন, তারুণ্যের প্রতি আস্থা রাখলে তারা জাতি গঠনের কেন্দ্রে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেন, যারা এক সময় মিছিলের অগ্রভাগে ছিল, আজ তারা নীতিনির্ধারণে অংশ নিচ্ছে, আর আগামী দিনের দিকনির্দেশনা ঠিক করতে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশে তারুণ্যের নেতৃত্ব জাতিসংঘের যুববিষয়ক নীতি ও কার্যক্রমের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার সফল গণআন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানমালার আলোকে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত তথ্যচিত্র এবং পোস্টার, দেয়াললিখন ও আলোকচিত্র প্রভৃতির প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নবযাত্রায় যুব সমাজের অনন্য অবদানকে উদযাপন করা হয়। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তাবৃন্দসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে এই বিশেষ আয়োজনে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘের ইয়ুথ অফিসের প্রতিনিধি ড. সুধা বালাকৃষ্ণণ বক্তব্য রাখেন।
ড. বালাকৃষ্ণণ তার বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘ সমাজ পরিবর্তনে যুবসমাজের সত্যিকারের অংশগ্রহণকে সর্বদাই উৎসাহিত করে থাকে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তনের অগ্রভাগে থাকা যুবশক্তি তাই অন্যান্য সমাজের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন সমস্যার দুই-জাতি-ভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে জাতিসংঘের একটি উচ্চ-পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বর্তমানে নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ