হাউস অব বাটারফ্লাই-এর সঙ্গে ‘ঈদের খুশিতে জমবে উৎসব’
Published: 21st, March 2025 GMT
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই উৎসবের আয়োজন! ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হাউস অব বাটারফ্লাই শুরু করেছে ‘ঈদের খুশিতে জমবে উৎসব’ ক্যাম্পেইন। ঈদ উদ্যাপনকে আরও উপভোগ্য করতে এই ক্যাম্পেইন দিচ্ছে আকর্ষণীয় সব অফার, যা ইতিমধ্যে গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।
এই অফারে ইকো প্লাস, হায়ার, হিটাচি, এলজি, স্যামসাং, তোশিবা ও ওয়ার্লপুলসহ শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন ১০০% পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট মডেলের ফ্রিজে ৩৯ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত, টিভিতে ১৬ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত এবং ‘গরম এখন আরামের’ ক্যাম্পেইনের আওতায় এসিতে ১৩ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত নগদ সাশ্রয় উপভোগ করা যাবে।
হাউস অব বাটারফ্লাই-এর হেড অব মার্কেটিং মুহাম্মদ সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, ‘গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ঈদের আনন্দকে আরও রঙিন ও স্মরণীয় করে তুলতে আমরা নিয়ে এসেছি বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘ঈদের খুশিতে জমবে উৎসব’। একই সঙ্গে গরমের কথা মাথায় রেখে শুরু করেছি এসি ক্যাম্পেইন ‘গরম এখন আরামের’। যেখানে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন আকর্ষণীয় অফার ও নগদ সাশ্রয়ের সুযোগ। আমরা বিশ্বাস করি, এই ক্যাম্পেইনগুলো গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করবে এবং তাঁদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলবে।’
ঈদের অফারের সঙ্গে ক্রেতারা আরও কিছু আকর্ষণীয় সুবিধাও পাবেন। যেমন এক্সচেঞ্জ অফার, যেখানে পুরোনো এসি, টিভি, ফ্রিজ বদলে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্য সমন্বয়ে নতুন পণ্য নিতে পারবেন এবং ট্রাই অ্যান্ড বাই অফার, নির্দিষ্ট মডেলের পণ্য আগে ব্যবহার করে দেখার সুযোগ।
এ ছাড়া ক্রেতারা যেকোনো সময়ে হাউস অব বাটারফ্লাই থেকে পণ্য কিনে উপভোগ করতে পারবেন কিস্তিতেই স্বস্তি অফার, যেখানে ক্যাশ কিস্তিতে পছন্দের পণ্য কেনা যাবে ১৫% ডাউন পেমেন্টে; ব্যাংক ইএমআই সুবিধা, যা বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ইএমআইতে কেনার সুযোগ।
অফারের বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন
হেল্পলাইন নম্বর-১৬৫৭১
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক য ম প ইন আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব
পাহাড়ের আঁকাবাঁকা প্রায় দুই কিলোমিটারেরও বেশি উঁচুনিচু ঢালু পথ পাড়ি দিয়ে আলোক শোভাযাত্রা করে করলেন হাজারো খৃষ্ট ভক্ত। মা মারিয়ার আশীর্বাদপ্রাপ্ত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ‘বারোমারি সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লি’ তে ছিলো এ বছরের আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয় ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব। দুই দিনব্যাপী এই তীর্থোৎসব শেষ হয়েছে গতকাল শুক্রবার জীবন্ত ক্রুশের পথ ও পবিত্র মহাখ্রিষ্টযাগের মধ্যে দিয়ে।
এ উৎসবে শুধু ক্যাথলিক খ্রিষ্টানই নন, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও প্রতিবছর অংশ নেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস র্যান্ডেল।
এসময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান ও পুলিশ সুপার (এসপি) আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক কমিটি জানায়, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবারে এই তীর্থযাত্রার আয়োজন করা হয়। প্রধান পৌরহিত্যকারী ন্যুনসিওকে বরণ, তীর্থের জুবিলী উদজাপন, পুর্নমিলন সংস্কার, পবিত্র খিষ্টযাগ, জপমালার প্রার্থন, আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রান্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান, ব্যক্তিগত প্রার্থনা ও নিশি জাগরণের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়। শুক্রবার সকাল আটটায় জীবন্ত ক্রুশের পথ অতিক্রম এবং সকাল ১০টায় মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের তীর্থোৎসব।
১৯৪২ সালে ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় বারোমারি সাধু লিওর ধর্মপল্লি। ১৯৯৮ সালে প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ গোমেজ স্থানটিকে ‘ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন থেকেই প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে এই ধর্মীয় উৎসব। এ বছর প্রায় ৩০-৪০ হাজার দেশি-বিদেশি রোমান ক্যাথলিক তীর্থযাত্রী অংশ নিয়েছেন উৎসবে। সার্বিকভাবে উৎসব এলাকা ছিল আলো, প্রার্থনা ও শান্তির আবহে মোড়ানো।
রংপুর থেকে আসা তীর্থযাত্রী রিপন আরেং বলেন, “সবাই যখন মোমবাতি প্রজ্বলন করে প্রার্থনা করতে করতে পাহাড়ি আকাঁবাঁকা পথ অতিক্রম করছিলেন, তখন পাহাড় আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছিল। তীর্থে আমরা মা মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করতে এসেছি।”
চট্টগ্রাম থেকে আসা রীতা নকরেক বলেন, “পুত্রবধূর সন্তান হচ্ছিল না। গতবার মানত করার পর এবার নাতী পেয়েছি। তাই এবার নাতীকে নিয়ে আবার এসেছি।”
গাজীপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে আসা শিক্ষার্থী ঝর্ণা আরেং বলেন, “মারিয়ার কাছে এলে মনে একধরনের শান্তি পাই। আমরা প্রার্থনা করি যেন জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। প্রতিবছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি।”
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা এই তীর্থযাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকি মুক্ত রাখতে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রেখেছি। পাঁচ শতাধিক পুলিশ পোশাকে এবং সাদা পোশাকে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও সেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। যে কোন ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।”
শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, “উৎসবটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনায়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে সহযোগীতা করে আসছে। এবারের তীর্থযাত্রায় সারাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের উৎসব পালন করেছে।”
ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পনেন পল কুবি সিএসসি বলেন, “এ উৎসবের মাধ্যমে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়েছে। ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ তীর্থে দেশ-বিদেশের হাজারো মানুষ সমবেত হয়েছেন। তাঁরা দুই দিনব্যাপী তীর্থে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। মা ফাতেমা রানীর কাছে দেশ ও মানবজাতির কল্যাণে প্রার্থনা শেষে যার যার বাড়ি ফিরে যাবেন।”
ঢাকা/তারিকুল/এস