তাহিরপুরের বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণ ও সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন ও পাউবো কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের ক্লোজার পরিদর্শন করেন তিনি। 
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাহিরপুরের শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া, বর্ধিত গুরমা, বর্ধিত মাটিয়ান, আঙ্গারুলি ও হালির হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

মামুন হাওলাদার, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসেম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট পিআইসির সভাপতি ও সদস্যরা।
ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে গুণগতমান পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরে সবচেয়ে সেরা ক্লোজারের কাজ হয়েছে ছিলানি তাহিরপুর ক্লোজার। এ সময় তিনি জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদারকে ছিলানি তাহিরপুর ক্লোজারের পিআইসি কমিটিকে শতভাগ বিল পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ