লিওনেল মেসি ও লওতারো মার্টিনেজের অনুপস্থিতিতে আর্জেন্টিনার শুরুর একাদশ নিয়েই ধোঁয়াশা ছিল। ফ্রন্ট লাইনে হুলিয়ান আলভারেজের নাম নিশ্চিত ছিল। তবে থিয়াগো আলমাদা ও জিওভান্নি সিমিওনে শুরুর একাদশে অবধারিত ছিলেন না। উরুগুয়ের মাঠে তাদের দিয়ে ম্যাচ শুরু করিয়েই বাজিমাত করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। 

শনিবার সকালে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের সেন্তেনারিওতে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। গোল করেন ধারে ফ্রান্সের ক্লাব লিঁওতে খেলা ২৩ বছর বয়সী তরুণ থিয়াগো আলমাদা। ১১ নম্বর জার্সি পরিহিত এই তরুণ ম্যাচের ৬৮ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন। 
 
ম্যাচে আর্জেন্টিনা একটি দুঃসংবাদও পেয়েছে। ম্যাচের যোগ করা সময়ে বদলি নামা উইঙ্গার নিকোলাস গঞ্জালেস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ব্রাজিলের বিপক্ষে ২৬ মার্চ সকালের ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না। 

উরুগুয়ের ডাগআউটে অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন কোচ মার্সেলোনা বিয়েলসা থাকায় আলবিসেলেস্তেদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। তিনি উরুগুয়ের ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে প্রথাগত পজিশন প্লেয়িং পছন্দ করেন। বল ধরে রাখার ওই লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল বিয়েলসার উরুগুয়ে। সঠিক পাস দেওয়ার ক্ষেত্রেও। 

তবে ঘরের মাঠে খেলা উরুগুয়ের ৬ শটের বিপরীতে গোলে ১২ শট নিয়েছে আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ে যেখানে মাত্র ২টি শট পোস্টে রাখতে পেরেছিল আর্জেন্টিনা রেখেছিল ৪টা। খুব বেশি বিপদ ছাড়াই তাই উরুগুয়ে জয় করেছেন আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৩ রাউন্ড শেষে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। দুইয়ে থাকা ইকুয়েডর ২২ ও তিনে থাকা ব্রাজিল ২১ পয়েন্ট তুলেছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই আর জ ন ট ন ফ টবল আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।

যেমন–

পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা  আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়। 

ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।

রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।

নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে। 

বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস

সম্পর্কিত নিবন্ধ