বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে নাটকীয় এক জয় পেয়েছে ব্রাজিল। এবার তাদের সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের শীর্ষ দলটির আক্রমণ সামাল দিতে এখন থেকেই কৌশল সাজাতে শুরু করেছে ব্রাজিল শিবির।  

ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার গিয়ের্মে আরানা মনে করেন, আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডদের থামাতে ম্যাচজুড়েই রাখতে হবে সর্বোচ্চ মনোযোগ। তার মতে, প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগকে অকার্যকর করতে হলে রক্ষণভাগের প্রতিটি খেলোয়াড়কে রাখতে হবে সজাগ ও দায়িত্বশীল।

১৩ ম্যাচ শেষে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন অঞ্চলের শীর্ষে রয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল। ব্রাজিলের বিপক্ষে মাত্র একটি পয়েন্ট পেলেই জাপানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা নিশ্চিত করবে আর্জেন্টিনা। তবে বলিভিয়া যদি তাদের ম্যাচে পয়েন্ট হারায়, তাহলে মাঠে নামার আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাবে আলবিসেলেস্তেদের।

তবে আসন্ন ‘সুপার ক্লাসিকো’ ম্যাচে থাকছেন না আর্জেন্টিনার তিন তারকা লিওনেল মেসি, লাওতারো মার্টিনেজ ও পাওলো দিবালা। যদিও তাদের অনুপস্থিতিতে উরুগুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত গোল করে দলকে জিতিয়েছেন থিয়াগো আলমাদা। ফলে আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগকে এখনও হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।

এই বিষয়ে আরানা বলেন, ‘আর্জেন্টিনা দারুণ ছন্দে আছে। তাদের আক্রমণভাগ সবসময়ই বিপজ্জনক। তাই আমাদের প্রতিটি মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। আক্রমণ রুখতে ভালো পজিশনিংয়ের কোনো বিকল্প নেই।’

তবে এই ম্যাচে মেসি-নেইমার না থাকায় ‘সুপার ক্লাসিকো’র উত্তাপ কিছুটা কমে গেছে বলেই মনে করছেন অনেকে। তা সত্ত্বেও ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মনে করেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ মানেই আলাদা এক আবহ, ‘এই দ্বৈরথ সবসময়ই বিশেষ। দুই দলই জয়ের জন্য লড়াই করে। আমাদের দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, যারা এমন চাপের ম্যাচে আগেও খেলেছে। জয়টাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

বাংলাদেশ সময় আগামী ২৬ মার্চ ভোর ৬টায় আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ফুটবলপ্রেমীদের জন্য অপেক্ষা করছে আরেকটি রোমাঞ্চকর লাতিন দ্বৈরথ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ব শ বক প ব ছ ই আর জ ন ট ন র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত, নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। শুক্রবারের মধ্যে নতুন করে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিশনের কাজ শুরু করার আশ্বাসে তাঁরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে শুক্রবারের মধ্যে কমিটি গঠন না হলে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বুধবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে।

এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রুয়া নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা বাইরে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘আমি ওয়াদা ভঙ্গকারী নই। যে কথা আমি রাখতে পারব না, সেই কথা বলব না। বিধিমালার বাইরে আমি কোনো কাজ করব না। আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিটির কাজ শুরু করব। আমি এমন কোনো অ্যাডহক কমিটি করব না, যার জন্য আমাকে আবার ধাক্কা খেতে হয়। এমন অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন করব, যেন নৈতিকতা ও মেরুদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্যের আশ্বাসে আমরা আজকে আন্দোলন স্থগিত করছি। কালকের মধ্যে অ্যাডহক কমিটি না হলে আমরা আবার একই স্থানে এসে আন্দোলন করব। আমাদের সবাইকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ