রাজধানীতে র্যাংগস ই-মার্ট ওএলইডি ফেয়ার শুরু
Published: 23rd, March 2025 GMT
রাজধানীর শুরু হয়েছে র্যাংগস ই-মার্ট ওএলইডি ফেয়ার।রবিবার (২৩ মার্চ) র্যাংগস ই-মার্টের গুলশান-২ শোরুমে ফেয়ারটি উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজি ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরাল্ড চুন, আশিকুল ইসলাম (হেড অব কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, এলজি বাংলাদেশ) এলজি ইলেকট্রনিক্স এর টিভি ক্যাটাগরি হেড মিস্টার শামিম আহসান খান।
এই র্যাংগস ই-মার্ট ওএলইডি ফেয়ারে গ্রাহকদের জন্য রয়েছে এলজি ৬৫ ইঞ্চি ওএলইডি টিভি থেকে শুরু করে সাউন্ড বার ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের বিশেষ ফ্রি গিফট।
এলজি ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরাল্ড চুন উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “র্যাংগস ইমার্টের সাথে এই ওলেড ফেয়ার করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই ওলেড সিরিজ টেলিভিশন শুধুমাত্র উন্নত প্রযুক্তির উদাহরণ নয়, এটি আমাদের গ্রাহকদের জীবনের অংশ হয়ে তাদের বিনোদনের অভিজ্ঞতা আরো সমৃদ্ধ করবে। আমাদের লক্ষ্য সব সময় এমন পণ্য সরবরাহ করা যা গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে এবং তাদের প্রত্যাশার ঊর্ধ্বে যায়।”
তিনি বলেন, “র্যাংগস ই-মার্টের সাথে আমাদের এই অংশীদারিত্ব আমাদের গ্রাহকদের কাছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি পণ্য আরো সহজলভ্য করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
ফেয়ারটি সম্পর্কে ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী বলেন, “র্যাংগস ই-মার্ট বরাবরই লেটেস্ট টেকনোলোজি নিয়ে কাজ করে, তারই একটি অংশ হচ্ছে অত্যাধুনিক এলজি ওএলইডি টিভি। ফেয়ার থেকে এলজি ওএলইডি টিভি কিনলেই ক্রেতারা ৬৫ ইঞ্চি টিভি ছাড়াও পাচ্ছেন সাউন্ড বারসহ আরো অনেক আকর্ষণীয় গিফট, সাথে ফ্রি ডেলিভারি ও ফ্রি ইন্সটলেশন থাকছেই। আমাদের এই ফেয়ারটি নিয়ে লক্ষ্য হলো বিভিন্ন সারপ্রাইজ ও পুরষ্কার দিয়ে গ্রাহকদের শপিং আরো প্রাণবন্ত করে তোলা এবং র্যাংগস ইমার্ট যে ইলেক্ট্রনিক্স জগতে সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং আস্থার জায়গা তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।”
ক্রেতারা অনলাইন কেনাকাটা ও ফেয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইট (rangsemart.
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী, ইরাজ এইচ. সিদ্দিকী, রাশেদুল ইসলাম, গোলাম আজম খান।
ঢাকা/হাসান/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।