সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু এলোমেলো করে দিয়েছিল প্রেমিকা ও অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর জীবন। পুলিশি জেরা ও মাদক মামলায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল এই অভিনেত্রীর। হাজতবাসও করতে হয়েছে তাঁকে। দর্শক চোখে রাতারাতি নায়িকা থেকে খলনায়িকা বনে গিয়েছিলেন তিনি। সাধারণ দর্শক আর নেটা দুনিয়ার বাসিন্দারা তাঁকে কটু কথা বলতে এতটুকু দ্বিধা করেননি।

এমন সব তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন রিয়া। জটও খুলেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যের। কিন্তু ততদিন রিয়ার অভিনয় ক্যারিয়ারে পড়েছে ভাটা। তারপরও অভিনয় জগতে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। তাই সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে যারা তাঁকে ভুল বুঝেছিল, কটু কথায় জর্জরিত করেছে; তাদের রিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, সুশান্ত সিংহ রাজপুত আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁকে প্ররাচিত করেছেন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। 

প্রয়াত অভিনেতার পরিবার ও অনুরাগীদের এমনই দাবি ছিল। সুশান্তের বাবা ও দিদির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেত্রী রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আদালতে মামলা ওঠার পর তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

সে সময় এটাও শোনা গিয়েছিল, তিনি নিয়মিত মাদক সরবরাহ করতেন সুশান্তকে। রিয়া বারবার বলার চেষ্টা করেছেন, তিনি কোনোভাবে সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত নন। তাঁকে মাদক সরবরাহ করার নেপথ্যেও তাঁর হাত ছিল না।

কেউ শোনেনি তাঁর কথা; বিশ্বাসও করেনি। অভিনেত্রী গারদের পেছনে আটকা পড়তেই তাঁকে বয়কট করেছিল বলিউড। সুশান্তের মৃত্যু দেশবাসীর কাছে খলনায়িকা বানিয়ে দিয়েছিল। অবশেষে শনিবার রাতে অভিশাপমুক্ত হয়েছেন রিয়া।

এদিন সিবিআই নিশ্চিত করেছে, সুশান্ত অত্মহত্যাই করেছেন। তাই রিয়া ও তাঁর ভাইয়ের ওপর থেকে যাবতীয় চার্জশিট তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সিবিআইর রিপোর্ট প্রকাশের পর নেটিজেনরা দাবি তুলেছেন, যাদের জন্য রিয়ার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল, রিয়ার কাছে তাদের প্রত্যেকের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল রিচার্ড কোরেল ভেবেছিলেন, দেশটির পারমাণবিক বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুনানি সহজভাবেই শেষ হবে। তবে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের আগের দিন বুধবার রাত ৯টা ৪ মিনিটে সে আশা ভেঙে গেছে।

ওই সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন। বলেন, তিনি মার্কিন বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা অবিলম্বে শুরু করতে বলেছেন। তাঁর যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের পেছনে থাকতে পারে না।

ট্রাম্প বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় এবং চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিনেটে সশস্ত্র বাহিনী কমিটির প্রায় ৯০ মিনিটের শুনানিতে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে বারবার কোরেলকে প্রশ্ন করা হয়। ট্রাম্পের মন্তব্যে অনেক আইনপ্রণেতাই এ সময় ছিলেন বিভ্রান্ত। এ থেকে বোঝা যায়, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ও এর বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা পরিষ্কার করেননি যে ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থার পরীক্ষা করতে বলছেন, নাকি বিস্ফোরক পরীক্ষায় ৩৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ করতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশ বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, যা শীতল যুদ্ধের ভয়ংকর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।

কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য সিনেটর জ্যাক রিড কোরেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা শুরু করলে তা কি বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।

কোরেল বলেন, ‘যদি আমাকে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের (স্ট্র্যাটকম) কমান্ডার হিসেবে নিশ্চিত করা হয়, আমার কাজ হবে, পারমাণবিক পরীক্ষাবিষয়ক যেকোনো আলোচনা সম্পর্কে সামরিক পরামর্শ দেওয়া।’

ভাইস অ্যাডমিরাল কোরেলকে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প স্ট্র্যাটকমের প্রধান করার জন্য মনোনীত করেন। স্ট্র্যাটকম পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধ ও আক্রমণের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। কোরেল পুরো শুনানিতে সতর্কভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় ও চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট

শুনানির এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প কি পারমাণবিক ডিভাইসের বিস্ফোরক পরীক্ষা নয়, বরং ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষার কথা বলছেন কি না।

জবাবে কোরেল বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য জানি না, তবে এটি এমন একটি ব্যাখ্যা হতে পারে, আমি তা মেনে নিই।’

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বৈঠকে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিং

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের আছে: ট্রাম্প
  • দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে
  • চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
  • জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন
  • বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • টমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না
  • সামুদ্রিক মাছে ভরপুর আড়ত, দাম কেমন
  • যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান
  • ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পেন্টাগনের সায়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প