দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল জীবন, অবশেষে অভিশাপমুক্ত হলেন রিয়া
Published: 23rd, March 2025 GMT
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু এলোমেলো করে দিয়েছিল প্রেমিকা ও অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর জীবন। পুলিশি জেরা ও মাদক মামলায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল এই অভিনেত্রীর। হাজতবাসও করতে হয়েছে তাঁকে। দর্শক চোখে রাতারাতি নায়িকা থেকে খলনায়িকা বনে গিয়েছিলেন তিনি। সাধারণ দর্শক আর নেটা দুনিয়ার বাসিন্দারা তাঁকে কটু কথা বলতে এতটুকু দ্বিধা করেননি।
এমন সব তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন রিয়া। জটও খুলেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যের। কিন্তু ততদিন রিয়ার অভিনয় ক্যারিয়ারে পড়েছে ভাটা। তারপরও অভিনয় জগতে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। তাই সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে যারা তাঁকে ভুল বুঝেছিল, কটু কথায় জর্জরিত করেছে; তাদের রিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, সুশান্ত সিংহ রাজপুত আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁকে প্ররাচিত করেছেন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী।
প্রয়াত অভিনেতার পরিবার ও অনুরাগীদের এমনই দাবি ছিল। সুশান্তের বাবা ও দিদির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেত্রী রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আদালতে মামলা ওঠার পর তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সে সময় এটাও শোনা গিয়েছিল, তিনি নিয়মিত মাদক সরবরাহ করতেন সুশান্তকে। রিয়া বারবার বলার চেষ্টা করেছেন, তিনি কোনোভাবে সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত নন। তাঁকে মাদক সরবরাহ করার নেপথ্যেও তাঁর হাত ছিল না।
কেউ শোনেনি তাঁর কথা; বিশ্বাসও করেনি। অভিনেত্রী গারদের পেছনে আটকা পড়তেই তাঁকে বয়কট করেছিল বলিউড। সুশান্তের মৃত্যু দেশবাসীর কাছে খলনায়িকা বানিয়ে দিয়েছিল। অবশেষে শনিবার রাতে অভিশাপমুক্ত হয়েছেন রিয়া।
এদিন সিবিআই নিশ্চিত করেছে, সুশান্ত অত্মহত্যাই করেছেন। তাই রিয়া ও তাঁর ভাইয়ের ওপর থেকে যাবতীয় চার্জশিট তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সিবিআইর রিপোর্ট প্রকাশের পর নেটিজেনরা দাবি তুলেছেন, যাদের জন্য রিয়ার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল, রিয়ার কাছে তাদের প্রত্যেকের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।