আইন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, ৬ পদে নেবে ৩৮ জন
Published: 24th, March 2025 GMT
আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের রাজস্বখাতভুক্ত পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। ৬টি পদে মোট ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোয় যোগ্যতাপূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউও। অনলাইনে পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু ২৫ মার্চ থেকে। আবেদন করা যাবে ৬-৪-২০২৫ পর্যন্ত।
পদের নাম ও পদসংখ্যা
১.
২. কম্পিউটার অপারেটর: ৫
৩. ক্যাশিয়ার: ১
৪. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক: ১
৫. ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর: ৩
৬. অফিস সহায়ক: ১২
আরও পড়ুন৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন, আওতার বাইরে যাঁরা২৩ মার্চ ২০২৫চাকরি আবেদনের বয়স
প্রার্থীর বয়স এ বছরের ১ মার্চে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। বিভাগীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে বসয়সীমা সর্বোচ্চ ৪০ বছর হতে হবে। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে এভিডেবিট গ্রহণযোগ্য হবে না।
আবেদনের নিয়ম
আগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।
আবেদন ফি
১–৫ নম্বর পদের জন্য আবেদন ফি ১১২ টাকা এবং ৬ নম্বর পদের জন্য আবেদন ফি ৫৬ টাকা।
আরও পড়ুন৪১তম বিসিএস থেকে ১৫১ জন প্রধান শিক্ষক হলেন, বেতন ১২তম গ্রেডে৫ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।