ক্ষমাতচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দুর্নীতির শিকার হওয়া ব্যাংকগুলো বাঁচানোর সব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। তবে এ ব্যাংকগুলো রক্ষা করা কঠিন। দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে এসব ব্যাংক রক্ষায় অনেক টাকা ছাপাতে হচ্ছে। সোমবার উন্নয়ন বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ–ডিজেএফবি আয়োজিত উন্নয়ন সংলাপ ও ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড.

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য ও সরকারের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে  সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবি সভাপতি হামিদুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব। 

টাকা ছাপানো প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে টাকা পাচার হচ্ছে না। ব্যাংকগুলো থেকে টাকা লোপাট হচ্ছে না। এখন প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে অর্থনীতি আরও কেন শক্ত হচ্ছে না। কারণ ব্যাখায় তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে এখন রক্ষা করা হচ্ছে। কোনো ব্যাংককেই আর দেউলিয়া হতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে অসুবিধা হচ্ছে, অনেক টাকা ছাপাতেও হচ্ছে। অনেক ব্যাংকে আর্থিকভাবে অন্তত কিছু মূলধন দেওয়া হচ্ছে। সেটা খুব কঠিন কাজ তবু ব্যাংকিং খাতকে তো রক্ষা করা যাচ্ছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিককার অর্থনীতির পরিস্থিতি তুলে ধরতে উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক একের পর এক খারাপ হতে থাকায় ওই সরকার টিকে থাকতে পারত না। অর্থনীতিবিদরা মনে করতেন, বিভিন্ন সূচকের দিক থেকে অর্থনীতি যেদিকে যাচ্ছিল, যেভাবে যাচ্ছিল, এটা অবধারিত ছিল যে, কোনো না কোনো সময় এই সরকার আসলে টিকতে পারবে না। অর্থপাচার, ব্যাংকিং খাত ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। যেভাবে রিজার্ভ কমে যাচ্ছিল তাতে  বৈদেশিক লেনদেন সম্ভব হত না। ব্যাংকগুলোর যারা প্রতিষ্ঠাতা, উদ্যোক্তা তারাই ব্যাংকের অর্থ নিয়ে তাতে লালবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুরো ব্যাংক খালি করে যেভাবেই হোক বৈধ-অবৈধভাবে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা তো পরিষ্কার জানতেন যে, এই ব্যাংক আর টিকবে না। এ অবস্থা চললে কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যেত। ওই অবস্থা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংক খাতের পুনর্গঠনে পরিকল্পনা করা হয়েছে। ব্যাংকিং খাত কী করে আস্তে আস্তে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে তা ওই পরিকল্পনায় রয়েছে। 

এখন পাচার হচ্ছে না, রপ্তানি বাড়ছে। রেমিট্যান্স বাড়ছে তারপরও কেন রিজার্ভ বাড়ছে না- এর ব্যাখ্যায় উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি ঋণ পরিশোধ বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে। এছাড়া বৈদেশিক সাহায্য কমেছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ–এফডিআই কমেছে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে এফিডিআই আসার কথা নয়। অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানান তিনি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করবেন মির্জা আব্বাস

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন:

যে আসন থেকে লড়বেন তারেক রহমান

২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া

এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচন প্রায় ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দিনাজপুর-৩ থেকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন থেকেও লড়বেন তিনি।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ