সরকারি মা ও শিশু হাসপাতাল: ভবনের সামনে পশু জবাই, মাংস ভাগ-বাঁটোয়ারায় রোগীদের অস্বস্তি
Published: 25th, March 2025 GMT
আয়োজন করে করা হয়েছে গরু জবাই। মাংস কাটা, ভুঁড়ি পরিষ্কার, ভাগ–বাঁটোয়ারাও করা হয়েছে। সমস্যা হলো, গরু জবাই ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে হাসপাতাল ভবনের সামনে। এতে হাসপাতালটিতে সেবা নিতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন রোগীরা। ভুক্তভোগীদের কয়েকজন এ নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যার মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালে ঘটে এ ঘটনা। আওরঙ্গজেব রোড ও তাজমহল রোডের মাঝামাঝি হাসপাতালটির অবস্থান। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই ছয়তলা যে হাসপাতাল ভবন দেখা যায়, সেটির সামনেই এ গরু জবাই করা হয়। কাজ শেষে প্লাস্টিকের নল দিয়ে রক্ত পরিষ্কার করা হলে পানির সঙ্গে রক্ত ভবনের গেট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। এ সময় রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মুখে কাপড় চেপে তটস্থ ভঙ্গিতে ভবনটিতে ঢুকতে দেখা যায়।
গরু জবাই, মাংস কাটা ও বণ্টনের পর প্লাস্টিকের নল দিয়ে করা হয় রক্ত ধোয়ার কাজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।