মঙ্গল শোভাযাত্রায় থাকছে দু’হাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকা আবু সাঈদের মোটিফ
Published: 25th, March 2025 GMT
পহেলা বৈশাখে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় গণঅভ্যুত্থানকে প্রতিফলিত করে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকা আবু সাঈদের একটি মোটিফ রাখা হবে। পাশাপাশি প্রধান আরো তিনটি মোটিফ থাকবে এতে। এগুলো হলো- একটি ফ্যাসিস্ট মুখচ্ছবি, শান্তির বার্তা নিয়ে পায়রা আর সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘরের কাঠের বাঘ।
আগামী ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেখানে চলছে মোটিফ, মুখোশসহ অন্যান্য অনুষঙ্গ তৈরির কাজ।
এবার দুই দিনব্যাপী উদযাপিত হবে পহেলা বৈশাখ। এবারের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে- ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
গতকাল সোমবার বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে এক সভায় বর্ষবরণের যাবতীয় আলোচনা হয়। এতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মুস্তফা সরওয়ার ফারুকী অংশ নেন।
মঙ্গলবার জানতে চাইলে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখ সমকালকে বলেন, এবার চারটি প্রধান মোটিফ থাকবে শোভাযাত্রায়। গণঅভ্যুত্থানকে তুলে ধরতে আবু সাঈদের দুই হাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকা চিত্রটির একটি মোটিফ, সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘরের একটি কাঠের বাঘ, একটি ফ্যাসিস্টের মুখচ্ছবি আর একটি শান্তির পায়রা।
আবু সাঈদের মোটিফ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককে কথা বলতে দেখা গেছে। ধর্মীয় বিধিনিষেধের জায়গাটিও অনেকে বলছেন। এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে চারুকলার ডিন বলেন, এরকম কোনো আপত্তি এখনও আমাদের জানা নেই। আমরা চিন্তা করে কাজও শুরু করেছি। যদি পরিবারের আপত্তি থাকে তাহলে আমরা কথা বলে নেব প্রয়োজনে।
তিনি বলেন, আবু সাঈদকে নিয়ে কোনো বাস্তবিক স্ট্যাচু, ভাস্কর্য বা চিত্র হচ্ছে না। গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক হিসেবে তার ঐতিহাসিক হাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকা ড্রয়িং- সেটিকে প্রতীকীভাবে তুলে ধরবো আমরা।
মঙ্গলবার চারুকলায় ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কাজ করছেন। মাঠে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মোটিফগুলো। অন্যদিকে জয়নুল গ্যালারি এবং অনুষদের বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন ধরনের মুখোশ, মাটির সরায় ফুল, পাতার নকশা আঁকা হচ্ছিল। শিক্ষার্থীরা বলেন, এগুলো সুলভে বিক্রি করে শোভাযাত্রার খরচ মেটানো হবে।
প্রস্তুতি নিয়ে আজাহারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তুতি কেবল শুরু হয়েছে। ১৩ তারিখের আগে শেষ করতে হবে। আমাদের কাজ চলছে। ছুটির কারণে একটু মুশকিল হয়েছে। ছুটির পর শিক্ষার্থীরা ফিরলে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।
১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ র কল স ঈদ র র একট
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।