গত নভেম্বরের দুই ম্যাচে ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ের বিপক্ষে সমতায় মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। তখনই ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়রের চাকরির সুতোয় টান পড়েছিল। মার্চের কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা ম্যাচ ছিল তার জন্য প্রমাণের সুযোগ। 

ওই পরীক্ষায় বাজেভাবে ফেল করেছেন ব্রাজিল বস দরিভাল। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জিতলেও ভালো খেলেনি ব্রাজিল। শেষ মিনিটে ভিনিসিয়াসের দুর্দান্ত গোলে জয় পায় সেলেসাওরা। আর্জেন্টিনার মাঠে গিয়ে ৪-১ গোলে হেরেছে দরিভালের দল। 

আগামী জুনে ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ইকুয়েডর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে আছে। তাদের মাঠে ম্যাচটি তাই কঠিন হতে পারে। ওই লড়াইয়ের আগেই কোচ পরিবর্তন করতে পারে ব্রাজিল। তবে ওই পরিকল্পনাও ভেস্তে যেতে পারে জুনের ক্লাব বিশ্বকাপের কারণে। 

সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, ব্রাজিল কোচের সঙ্গে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট এডনাল্ড রদ্রিগেজের দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে। তিনি দরিভালকে সরিয়ে পুনরায় কার্লো আনচেলত্তিকে ব্রাজিলের ডাগ আউটে দেখতে চান। 

এছাড়া ব্রাজিলের সাবেক চেলসি ও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ডিফেন্ডার ফিলিপে লুইজকে রাখা হয়েছে তালিকার। এর বাইরে আছেন আল হিলালে কাজ করা পর্তুগিজ কোজ হোর্হে জেসুস ও পালমেইরাসে কাজ করা পর্তুগিজ কোচ আবেল ফেরেইরা। 

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে কার্লো আনচেলত্তির ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে। চলতি মৌসুমে লস ব্লাঙ্কোসরা খুব ভালো না খেলায় মৌসুম শেষে চাকরি যেতে পারে তার। তবে জুনের ক্লাব বিশ্বকাপ পর্যন্ত আনচেলত্তিকে দেখা যেতে পারে রিয়ালের ডাগআউটে। গ্লোবের মতে, আনচেলত্তিও পুনরায় ব্রাজিলের বিষয়ে কাছের মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। 

আনচেলত্তির মতো ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেবে ফিলিপে লুইজের ফ্লামেঙ্গোও। জুনের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সূচিতে তাই ব্রাজিলকে দরিভালের ওপরই ভরসা রাখতে দেখা যেতে পারে। কাউকে অন্তবর্তীকালীন দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে। জুনের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পা হড়কালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপে খেলা শঙ্কায় পড়ে যেতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল আর জ ন ট ন ব শ বক প ব ছ ই র ব শ বক প দর ভ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানির’ বিরুদ্ধে আট দফা দাবি উত্থাপন করে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার বিকেলে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগে সংস্কার কার্যক্রম চললেও রেজিস্ট্রার ভবন এখনো পুরোনো ত্রুটিপূর্ণ প্রশাসনিক ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিমা, সনদ উত্তোলন, ডিজিটাল কার্যক্রম, কর্মচারীদের ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হয়রানি, বিলম্ব ও দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা যে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিমা–সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো অর্থ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে; মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠকের অজুহাতে সেবা বন্ধ না করে কার্যক্রম চালু রাখতে হবে; রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি পরিশোধসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটাল করতে হবে; লালফিতার দৌরাত্ম৵ বন্ধ এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনা চালু  করতে হবে; অবৈধ নিয়োগ তদন্ত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; ওয়েবসাইট হালনাগাদ এবং কেন্দ্রীয় অনলাইন সেবা পোর্টাল চালু করতে হবে; কর্মচারীদের আচরণ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে; সনদ ও মার্কশিট উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি বাতিল করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আবদুর রহমান আল-ফাহাদ, আশিক খান, রিয়াদুল ইসলাম, শামসুদ্দোহা শাকিল, শাহেদ ইমনসহ ১০ জন। এ সময় সহ–উপাচার্য সায়মা হক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ