Prothomalo:
2025-05-01@14:07:18 GMT

পেঁয়াজবীজেই হাফিজের হাসি

Published: 28th, March 2025 GMT

হাফিজ উদ্দিন মৃধা তখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়েন। বড় ভাই একদিন ডেকে বললেন, ‘আমি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। তোকে দুই ক্লাস বেশি পড়ালাম। এখন লাঙল ধর।’ ভাইয়ের এ কথা শুনে শিশু হাফিজ মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলেন। বাবা নেই, তাই মা সেদিন কিছু করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে কলম ছেড়ে লাঙল ধরেন হাফিজ। তবে তিনি লাঙলেই ফলিয়েছেন সোনা।

এখন মাটিতে হাত দিলেই বুঝতে পারেন, কোন মাটি পেঁয়াজের। সংকরায়ণের মাধ্যমে পেয়েছেন ছয় জাতের বীজ। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ১৪ জেলায় ছড়িয়ে আছে সেই পেঁয়াজবীজের বাজার। তাঁর রয়েছে সাড়ে ৩০০ কন্টাক্ট ফারমার (চুক্তিবদ্ধ চাষি)। হাফিজ উদ্দিন (৫৭) সেই চাষিদের বপনের জন্য বীজ দেন, বিনা সুদে ঋণ দেন। তাঁদের উৎপাদিত পেঁয়াজবীজ নিয়েও চাষির দুশ্চিন্তা থাকে না। সব বীজ তিনিই নগদ টাকায় কিনে নেন। এভাবে তিনি নিজের পাশাপাশি দিন বদলে দিয়েছেন ভিটেমাটিহীন শতাধিক চাষির। কেউ জায়গাজমি কিনছেন, কেউ পাকা ঘরবাড়ি করেছেন।

সাধারণ পেঁয়াজ সহজে পচে যায়। চাতালে বেশি দিন টেকে না। একাধিক কন্দবিশিষ্ট হয়, ফেটে যায়। সংকরায়ণের মাধ্যমে পাওয়া হাফিজের বীজের পেঁয়াজ হয় এক কন্দবিশিষ্ট, এক মাপের ও চাতালে টেকে বেশি দিন। তাই চাষিরা ঝুঁকেছেন তাঁর বীজের দিকে। গত বছর হাফিজ উদ্দিনের উৎপাদিত পেঁয়াজবীজের পরিমাণ ছিল ২৯ মেট্রিক টন। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ মেট্রিক টন। তাঁর জীবনের ৩২ বছরের লড়াই তাঁকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। পেঁয়াজবীজ উৎপাদনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এই কৃষকের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মেলান্দি গ্রামে।

হাফিজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর উৎপাদিত পেঁয়াজ ও বীজ দেখছেন স্বশিক্ষিত কৃষি বিজ্ঞানী নুর মোহাম্মদ ও বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সির কর্মকর্তারা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উৎপ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ