বাবাকে খুন করে হাত-পা বেঁধে বাথরুমের ট্যাংকির মধ্যে ফেলে দেন বাবুল: পুলিশ
Published: 29th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের পটিয়ায় কথা কথাকাটির এক পর্যায়ে ছেলে মো. বাবুল (২৩) তার বাবা নুরুল হককে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবুল তার বাবাকে হত্যার পর তার হাত-পা বেঁধে টানা হেচড়া করে বাড়ির পেছনে বাথরুমের ট্যাংকিতে গুম করে রাখার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
শনিবার দুপুরে পটিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কার্যালয়ে পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম ও আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুর নুর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিহত নুরুল হকের ছেলে মো.
পটিয়া থানার ওসি বলেন, নিবিড় তদন্তকালে নিহতের ছেলে মো. বাবুল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিতে বলেন, গত ২৪ মার্চ রাত প্রায় ১০টার দিকে প্রতিবেশী আইয়ুব আলী ও বাচার সঙ্গে তার বাবা তার ঘরের ভিতরে নেশা করেন। তারা নেশা করে ঘর থেকে চলে যাওয়ার পর রাত প্রায় ১১টার দিকে নেশা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঘরের মধ্যে ছেলের সঙ্গে বাবার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির জেরে ছেলে বাবুল তার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে মেঝেতে থাকা ইটের আঘাতে তার বাবার মাথায় গুরুতর জখমসহ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এসময় বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মেঝেতে থাকা ইট দিয়ে পুনরায় আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। পরে লাশ গুম করে সাক্ষ্য প্রমাণ গোপন করার জন্য মরদেহের হাত-পা বেঁধে টানা হেচড়া করে তাদের বাড়ির পেছনে আবুল কালামের পরিত্যাক্ত বাথরুমের ট্যাংকির ভেতরে ফেলে দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে শুক্রবার নিহতের প্রতিবেশী রাশেদা বেগম বাড়ির চারপাশ পরিস্কার করতে গিয়ে তার বাড়ির বাথরুমের ট্যাংকি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে প্রতিবেশী আরও ২-৩ জনের সহায়তায় বাথরুমের ট্যাংকির ঢাকনা ওঠান। এতে নুরুল হকের অর্ধগলিত মরদেহ হাত পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে পিংকি আকতার বাদী হয়ে পটিয়া থানায় এজাহার দায়েরের পর সেটি তার ভাই মো. বাবুলে বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হয়।
ওসি বলেন, আসামী মো. বাবুলকে আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি প্রদান করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫