রাজশাহী মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার নিয়ে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। দলের মধ্যে প্রকাশ্যে তিনটি ধারার সৃষ্টি হয়েছে। যাঁদের কেউ কাউকে মানছেন না। এক পক্ষের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকেন আরেক পক্ষের নেতারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিও পালিত হচ্ছে পৃথকভাবে। এই বিভক্তির কারণে দ্বন্দ্ব–সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা। ঘটছে প্রাণহানিও।

দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ এনে ১৭ মার্চ রাজশাহীতে থাকা বিএনপির তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন মহানগরের নেতারা। এ নিয়ে দলের মধ্যে তোলপাড় চলছে। এ ঘটনাকে নজিরবিহীন বলছেন অনেকেই। ওই চিঠিতে মহানগর বিএনপিকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটিকে বাদ দিয়ে নিজস্বভাবে দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি পালনের অভিযোগ আনা হয়। অবশ্য চিঠি দেওয়ার পরও ২১ মার্চ নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মসূচি পালন করেছেন তিন নেতা।

ওই তিন নেতা হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান (মিনু); বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন (বুলবুল) এবং বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক (মিলন)। তাঁরা দীর্ঘদিন নগর বিএনপির শীর্ষ পদে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা এই তিন নেতা ‘সতর্কীকরণ চিঠিকে’ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মহানগর কমিটির এমন চিঠি দেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তবে মহানগর কমিটির নেতারা বলছেন, কেন্দ্রের নির্দেশেই তাঁরা এই চিঠি দিয়েছেন। এই নিয়ে দলে এখন চরম টানাপোড়েন চলছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলীকে আহ্বায়ক ও মামুন অর রশিদকে সদস্যসচিব করে নগর বিএনপির ৯ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে সাতজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। তাঁরা হলেন নজরুল হুদা, দেলোয়ার হোসেন, মো.

ওয়ালিউল হক, আসলাম সরকার, শফিকুল ইসলাম, বজলুর রহমান ও জয়নাল আবেদিন। ২০২২ সালের ৫ মার্চ ৬১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

তিন ভাগে বিভক্ত কর্মসূচি

বিএনপি দলীভাবে পালন করে থাকে এমন দিবসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। গত ৭ নভেম্বর এই দিবসে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ নগরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। ৮ নভেম্বর নগর বিএনপির চার যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, আসলাম সরকার, জয়নাল আবেদীন ও ওয়ালিউল হকের নেতৃত্বে পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পরদিন ৯ নভেম্বর নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে পৃথক আলোচনা সভা হয়।

আবার নগর বিএনপির কর্মসূচিতে ডাক পাচ্ছেন না কেন্দ্রীয় এই তিন নেতা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ পরিবারের সঙ্গে ৭ মার্চ সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দোয়া অনুষ্ঠান ছিল নগরের ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেখানে তাঁরা ডাক পাননি। 

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপি আয়োজিত দলের বিভাগীয় শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান (দুদু)। এই সমাবেশেও ওই তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে দেখা যায়নি। 

পাল্টা কমিটির পর তৃণমূলে অসন্তোষ

গত ২৪ অক্টোবর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব নগরের সাত থানার আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। কিন্তু পাল্টা কমিটি দেন চার যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, আসলাম সরকার, জয়নাল আবেদীন ও ওয়ালিউল হক। এই কমিটি করার পরে দলের অসন্তোষের কথা কেন্দ্রে চলে যায়। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম এসে তাদের মীমাংসা করে দেন। পাল্টা কমিটির আহ্বায়কদের যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটি পুনর্গঠন করে দেওয়া হয়।

তবে এ নিয়ে দলে এখনো অসন্তোষ রয়েছে। একাংশের নেতা–কর্মীরা বলছেন, সাতটি থানার একটিতেও ভালো কমিটি হয়নি। এই কমিটি ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। নগরের মতিহার থানার পাল্টা কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছিলেন সাইফুল ইসলাম। তিনি স্নাতকোত্তর। অন্যদিকে বর্তমান আহ্বায়কের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোনো সনদই নেই। সাইফুল বলেন, তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন কমিটিতে আসবেন শিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের নেতারা। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।

বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার পাল্টা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন গুলজার হোসেন। তিনি বলেন, তাঁদের কমিটি ছিল নির্যাতিত ও ত্যাগী বিএনপি নিয়ে। নতুন কমিটি হয়েছে সুবিধাভোগীদের নিয়ে হয়েছে।

নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, খুন

আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ধরিয়ে দেওয়ার জের ধরে ৬ মার্চ রাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপির দুই পক্ষ। নগরের দড়িখোরবনার মোড়ে এই সংঘর্ষে গোলাম হোসেন নামের এক রিকশাচালক নিহত হন। এ ঘটনায় করা মামলায় নগরের শাহ মখদুম থানা বিএনপির আহ্বায়ক সুমন সরদার, চন্দ্রিমা থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফাইজুর হক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়। নগর বিএনপির সদস্যসচিবের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান।

১৫ মার্চ বিকেলে নগরের বোয়ালিয়া থানায় বিএনপিপন্থী এক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দেওয়া ও ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা নিয়ে মহানগর বিএনপির নেতারা দুই ভাগ হয়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান।

নেতাদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সরকার পতনের পর পর সরকারি সম্পত্তি জালিয়াতির অভিযোগে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদাসহ দুজনের বিরুদ্ধে ৮ আগস্ট আদালতে মামলা করেছেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমান মহানগর কমিটির সদস্যসচিব জাসদ করেছেন, জাতীয় পার্টি করেছেন। এই কমিটি আসার পরে তাঁরা কোনো অনুষ্ঠানে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানায় না। এরা ভূমিদস্যুতা, মারামারি, চাঁদাবাজি—এসবে ইন্ধন দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত। তিনি অভিযোগ করেন, মামুন অর রশিদের ইন্ধনে নগরের দড়িখোরবনার মোড়ে একজন মানুষ খুন হয়ে গেল। তাঁদের সঙ্গে তাঁরা চলতে পারেন না।

মামুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বললেন, ‘মিজানুর রহমান মিনু আমার বড় ভাই। তবে তিনি যে অভিযোগগুলো করেছেন, এগুলো সত্য নয়।’ আহ্বায়ক এরশাদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, থানা কমিটি নিয়ে পাল্টা কমিটি হয়েছিল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম এসে সেগুলো মিটমাট করে দিয়ে গেছেন। আর কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, ‘যাঁরা বলছেন যে তাঁদের আমরা সতর্ক করতে পারি না, তাঁরা কথাগুলো কেন্দ্রে গিয়ে বলুক।’

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, তাঁরা এখন যে কর্মসূচি পালন করেন, এটা দলের চেয়ারপারসনের কর্মসূচি। সেখানে কমিটির কয়েকজন নেতা ছাড়া সবাই যাচ্ছেন। তাঁকে দলের চেয়ারপারসন মনোনীত করেছেন। তিনি ছাড়া কেউ তাঁকে অপসারণ করতে পারেন না।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম জ ন র রহম ন সদস যসচ ব ন ব এনপ র কম ট কম ট র কর ছ ন সরক র সদস য বলছ ন নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ