লা লিগার শীর্ষস্থান ধরে রাখলো বার্সেলোনা। শনিবার লেগানেসকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় বার্সার সমান হয়ে গেলেও রোববার জিরোনাকে উড়িয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। ঘরের মাঠে লেভান্ডোভস্কির জোড়া গোলে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। অন্য দুই গোল করেছেন ফেরান তোরেস এবং জিরোনার লাদিস্লাভ ক্রেইচি আত্মঘাতী গোল করলে এক গোল উপহার পায় বার্সা।

অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বার্সেলোনা। যদিও প্রথমার্ধে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না ফ্লিকের দল। জিরোনার গোলরক্ষক পাওলো গাজ্জানিগা একের পর এক শট রুখে দিচ্ছিলেন। যদিও বিরতির ঠিক আগে ভাগ্য বার্সার পক্ষে যায়। ইয়ামালের ফ্রি-কিক থেকে দেওয়া ক্রসে জিরোনার ডিফেন্ডার লাদিস্লাভ ক্রেইচি ভুল করে নিজের জালেই বল পাঠিয়ে দেন। ৪২ মিনিটের এই আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে জিরোনা। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ডেইলি ব্লিন্ডের পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোল করেন আর্নট ডানজুমা। তবে মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে ফের এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। লোপেজের পাস থেকে দুর্দান্ত দক্ষতায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গাজ্জানিগার পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান লেভান্ডোভস্কি। এটি ছিল চলতি লা লিগায় তার ২৪তম গোল।

এরপর ৭৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লেভান্ডোভস্কি। মাঝমাঠ থেকে ফ্রেংকি ডি ইয়ং দারুণ এক পাস বাড়ান, সুযোগ বুঝে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার। এটি এবারের লা লিগায় লেভার ২৫তম গোল। তার চেয়ে তিন গোল কম নিয়ে দুইয়ে এমবাপ্পে।

ম্যাচের শেষ দিকে ফেরান তোরেস স্কোরলাইন ৪-১ করেন। জেরার্ড মার্টিনের ক্রস থেকে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ে ইয়ামাল অসাধারণ এক শট নেন, যা ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।

২৯ ম্যাচে ২১ জয় ও ৩ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬৬। দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬৩। রিয়ালের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবধ ন গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে: নেতানিয়াহু

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার আশঙ্কার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’।

তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে’। 

এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে। 

তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি। 

ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।

সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।

ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ