ঢাকার ধামরাইয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে মির্জা আব্দুল মুঈদ বেগ (৫৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ জন।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সুতিপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল ও মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।

মির্জা আব্দুল মুঈদ বেগ কুষ্টিয়ার মিরপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। 

আরো পড়ুন:

প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ যুবক নিহত

চট্টগ্রামে টানা তিন দিন একই স্থানে দুর্ঘটনা, নিহত ১৬

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, ভোর ৪টা ৪২ মিনিটের দিকে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা এসবি ডিলাক্স পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধামরাইয়ের সুতিপাড়া এলাকায় মহাসড়কের পাশের একটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসের সামনের দিকের সিটে থাকা মির্জা আব্দুল মুঈদ ঘটনাস্থলেই মারা যান, আহত হন তার স্ত্রীসহ আরো পাঁচজন। এর মধ্যে, চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন।

গোলড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

সোহেল সারোয়ার বলেন, ‘‘নিহতের লাশ থানায় রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা লাশ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তরের জন্য আবেদন করেছেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।’’

ঢাকা/সাব্বির/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ