মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পরিত্যক্ত কার্টনে মরদেহের কয়েক টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মাথাসহ মরদেহের টুকরোগুলো পলিথিনে মোড়ানো ছিল। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে লৌহজং উপজেলার আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
 
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা সেতু উত্তর থানাধীন মেদিনীমণ্ডল গ্রামের আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে খেলার সময় একটি পরিত্যক্ত কার্টন দেখতে পায় কয়েকজন কিশোর। তার কাছে গিয়ে কার্টন খুলতে পলিথিন ব্যাগে মরদেহের খণ্ডিত অংশ দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা স্থানীয়দের জানায়। পরে গ্রামবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, ব্যাগের ভেতরে বিচ্ছিন্ন মাথাসহ কোমর থেকে গলা পর্যন্ত শরীরের কয়েকটি অংশ পাওয়া গেছে। 

পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, মাথা দেখে মনে হচ্ছে, এটি কোনো পুরুষের মরদেহ।

তিনি আরও বলেন, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই ব্যাগ এখানে ফেলে রেখে গেছে তা দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে মরদেহের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ র ক র টন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ