Samakal:
2025-06-15@12:00:37 GMT

বিপজ্জনক ৪০ বাঁক, মরণফাঁদ

Published: 4th, April 2025 GMT

বিপজ্জনক ৪০ বাঁক, মরণফাঁদ

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক। চার উপজেলাবাসীর জেলা শহরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পথ। ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে ৪০টি বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। প্রায়ই এসব বাঁকে দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ হাজারের বেশি অটোরিকশা, বাস ও মিনিবাস চলাচল করে এ সড়কে। দুর্ঘটনায় গত বছর ৪০ জন নিহত হয়েছে। গত তিন মাসে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন কোনো না কোনো স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। এর কারণ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক, চালকের অদক্ষতা, চালক ও সহকারীর নেশাসক্তি, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন এবং ফুটপাত দখল। পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি লাইসেন্সবিহীন চালকরা বেপরোয়া গতিতে চালান। এ কারণে এই সড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা রাঙ্গুনিয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা জানান, ঘন ঘন বাঁকের কারণে চালকদের গাড়ি চালাতে অসুবিধা হয়।

মোটরসাইকেল চালকের বেশির ভাগ কিশোর-যুবক শ্রেণির। হেলমেট ব্যবহারসহ সড়ক আইন মানার ব্যাপারে তারা উদাসীন। দুই থেকে তিনজন আরোহী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালায়। সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। দু-এক জায়গায় থাকলেও যথাযথ দায়িত্ব পালন করে না।

রাঙ্গুনিয়া সিনিয়র জজ আদালতের আইনজীবী নুরুল আলম জানান, এই সড়কের রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বঙ্কিম চন্দ্র বলেন, এ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এর কোনো সুরাহা নেই।

চন্দ্রঘোনার সমাজকর্মী মুহাম্মদ ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী বলেন, এই সড়কে আমি দুর্ঘটনায় দীর্ঘদিন কষ্ট পেয়েছি। এই সড়ক প্রশস্ত এবং বাঁক সোজা করতে হবে।
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই বাস মিনিবাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো.

শাহ আলম জানান, এই সড়কের বাঁকগুলো নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। বিশেষ করে বাঁক সোজা, বিভাজক কিংবা গতিরোধক স্থাপন করতে হবে। আমরা তাদের কর দেই। কিন্তু, সড়ক নিরাপদ করার জন্য তারা উদ্যোগ নেয় না।

রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার পরদর্শক (তদন্ত) সুজন হাওলাদার জানান, বাঁকে বিভাজক স্থাপন ও গতিরোধ করতে হবে। এতে দুর্ঘটনা কমে যাবে।

সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর জানান, দুর্ঘটনা রোধে বাঁকে গতিরোধক ও সাইনবোর্ড স্থাপনসহ পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ই সড়ক

এছাড়াও পড়ুন:

স্মৃতির রঙে রাঙিয়ে নিচ্ছেন নীহা

২ / ৬নাজনীন নীহা জানান, পবিত্র ঈদুল আজহায় তিনি গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে ছিলেন। পরিবারের সবার সঙ্গে তাঁর ঈদের আনন্দ দারুণ কেটেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ