হোয়াইটওয়াশ হয়ে মেজাজ হারাল খুশদিল, মারতে গেলেন সমর্থককে
Published: 5th, April 2025 GMT
নিউজিল্যান্ড সফর থেকে হতাশা নিয়েই ফিরছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারার পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও হলো হোয়াইটওয়াশ। তবে মাঠের ব্যর্থতার পাশাপাশি বিতর্কেও জড়ালেন দলের অলরাউন্ডার খুশদিল শাহ।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে অনুষ্ঠিত শেষ ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ২৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান থামে মাত্র ২২১ রানে। বাবর আজম খেলেন ৫৮ বলে ৫০ রানের ইনিংস। তবে মূল নাটক ঘটান কিউই পেসার বেন সিয়ার্স, যিনি মাত্র ৩৪ রান খরচায় শিকার করেন ৫ উইকেট। পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ৪০ ওভারে। ফলে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো সফরকারীরা।
ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার সময় ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। দলের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ কয়েকজন সমর্থক বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে খুশদিল শাহ ও গোটা দলের সমালোচনা শুরু করেন। তাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন খুশদিল। রাগের বশে তিনি সমর্থকদের দিকে তেড়ে যান। পরিস্থিতি সামাল দিতে একজন নিরাপত্তাকর্মী এগিয়ে এসে খুশদিলকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। সেই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তের একটি ছবি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে চার ম্যাচ খেললেও ওয়ানডেতে সুযোগ পাননি খুশদিল। তিন ম্যাচেই সাইড বেঞ্চে বসে ছিলেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল
এছাড়াও পড়ুন:
৪২ বছর পর নিউ জিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল্যান্ড
১৯৮৩ সাল আবার মনে করাল ইংল্যান্ড। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে সেবার ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ৪২ বছর পর একই অভিজ্ঞতা হলো এবার তাদের।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা নিউ জিল্যান্ড এবার আরো চেপে ধরেছিল ইংল্যান্ডকে। তবুও লড়াই করে ওয়েলিংটনে অতিথিরা ২২২ রানের পুঁজি পায়। হোয়াইটওয়াশের মিশনে থাকা নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। লো স্কোরিং ম্যাচ জমে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে হাতে ২ উইকেট রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। ১৯৮৩ সালের পর প্রথম নিউ জিল্যান্ড ইংল্যান্ডকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ড চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ১০২ রানে তাদের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান জস বাটলার (৩৮) আউট হন। তখন ধারণা করা হচ্ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ব্রাইডন চার্স ও জেমি ওভারটন। দুজন ৫৮ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ব্রাইডন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়ে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে তাদের ব্যাটেই।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওভারটন আউট হন ৪১তম ওভারে। ৬২ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর আগে জেমি স্মিথ (৫), বেন ডাকেট (৮), জো রুট (২) ও হ্যারি ব্রুক (৬) দ্রুত আউট হন। দলের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন পাঁচ নম্বরে নামা জ্যাকব মিচেল। তবুও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
নিউ জিল্যান্ডের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন ব্লায়ার টিকনার। ৩ উইকেট পেয়েছেন জ্যাকব টাফি। ২টি পেয়েছেন জ্যাক ফলকস।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৮ রান পায় কিউইরা। ডেভন কনওয়ে ৩৪ ও রাচীন রাভিন্দ্রা ৪৬ রান করেন। এরপর ছন্দ হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ডার্ল মিচেলের অনবদ্য ৪৪ ও শেষ দিকে মিচেল স্টানারের ২৭ রানে নিউ জিল্যান্ড লড়াইয়ে ফেরে। শেষ দিকে জ্যাক ফলকসের ১৪ ও ব্লায়ার টিকনারের ১৮ রানে নিউ জিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়।
ইংলিশদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও স্যাম কারান।
এই সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং একটুও ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে ২২৩ ও দ্বিতীয়টিতে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায়। নিউ জিল্যান্ড জয় পায় যথাক্রমে ৪ ও ৫ উইকেটে। শেষ ম্যাচে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়লেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড।
বল হাতে ৪ উইকেট ও ব্যাটিংয়ে ১৮ রান করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন টিকনার। ১৭৮ রান করে সিরিজ সেরা ডার্ল মিচেল।
ঢাকা/ইয়াসিন