বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ মহিলা দলের নেত্রীর
Published: 5th, April 2025 GMT
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিকুজ্জামান ছট্টু ও দ্বীন মোহাম্মদ দীনুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ঘের দখল, লুটপাট ও দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিভাবে আইনগত ব্যবস্থাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন জেলা মহিলা দলের সদস্য আম্বিয়া খাতুন।
গত ১৪ মার্চ তিনি এ আবেদনপত্রটি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহতুল্লাহ পলাশের কাছে দেন। তিনি এ আবেদনটি জেলা বিএনপির দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির কাছে দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিএনপি নেতা রফিকুজ্জামান ছট্টু তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। যা আদৌ সঠিক নয়।’’
আরো পড়ুন:
রংপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু
রংপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
বিএনপি নেতা রফিকুজ্জামান ছট্টু বলেন, ‘‘মহিলা দলের সদস্য আম্বিয়া ও সালেহা হক কেয়া একজন আওয়ামী পরিবারের পক্ষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে এ সব মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন।’’
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তদন্ত কমিটির সদস্য আবুল হাসান হাদী জানান, জেলা মহিলা দলের সদস্য আম্বিয়া খাতুনের লিখিত আবেদন পেয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র সদস য ব এনপ র তদন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।