ঘরের মাঠে হোঁচট বার্সার, শিরোপার দৌড়ে ধাক্কা
Published: 6th, April 2025 GMT
ভ্যালেন্সিয়ার কাছে রিয়াল মাদ্রিদের হারের পর বার্সেলোনার সামনে সুযোগ ছিল পয়েন্ট ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়ার। তবে সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারল না কাতালানরা। ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করেছে জাভির শিষ্যরা। এতে শিরোপার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই পয়েন্ট হারাল বার্সা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। মাত্র সাত মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ফেরান তোরেসের পাস থেকে নিখুঁত শটে জালের দেখা পান তরুণ মিডফিল্ডার গাভি। কিন্তু লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। দশ মিনিটের ব্যবধানে সমতায় ফেরে রিয়াল বেটিস। লো সেলসোর পাস থেকে গোল করেন নাটান।
প্রথমার্ধে উভয় দল বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কেউ। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা দারুণ চাপ সৃষ্টি করে, তবে বেটিস গোলরক্ষক আদ্রিয়ানের দৃঢ়তায় হতাশ হতে হয় ইয়ামাল ও লেভানডস্কিদের। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে সহজ এক সুযোগ নষ্ট করেন রবার্ট লেভানডস্কি, যার ফলে জয় বঞ্চিত থেকেই মাঠ ছাড়ে বার্সা।
এই ড্রয়ের ফলে ৩০ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট এখন ৬৭। সমান ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে