পটুয়াখালীর বাউফলে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সালাম খন্দকার (৫৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাকলা তাতেরকাঠী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এইদিন সন্ধ্যায় ওই শিশুর বাবা বাউফল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা থেকে জানা যায়, শনিবার দুপুরে বাকলা তাতেরকাঠী গ্রামের ওই শিশুটিকে তার দাদা দাদির কাছে রেখে পরিবারের লোকজন অন্যত্র বেড়াতে যায়। বিকালে শিশুটি বাড়ির সামনে খেলাধুলা করছিল। প্রতিবেশি সালাম খন্দকার শিশুটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় শিশুটির ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সালাম নগ্ন অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে সব খুলে বলে। 

ওই শিশুর বাবা বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা সালাম খন্দকার ঘটিয়েছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”

বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, “শিশুটিকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সালাম খন্দকারকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”

ঢাকা/ইমরান/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব উফল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়। 

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ