জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজার ‘অভিষেক’ নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
Published: 6th, April 2025 GMT
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। এর পর থেকে তাঁর ঘরের মাঠের অভিষেক নিয়ে আলোচনা। বাফুফের চাওয়া, জাতীয় স্টেডিয়ামেই হবে হামজার সেই অভিষেক।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ১০ জুন। সেই ম্যাচটি জাতীয় স্টেডিয়ামে হলে হামজার ঘরের মাঠে অভিষেকটাও দারুণভাবে উপভোগ করতে পারবেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু স্টেডিয়ামটির সংস্কারকাজ চলমান থাকায় অনিশ্চয়তা দেখা দেয়; যদিও সিঙ্গাপুর ম্যাচটা জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনে কোনো সমস্যা দেখছেন না যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্টেডিয়ামে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘কাজ প্রায় শেষ। তাবিথ ভাইয়ের (বাফুফে সভাপতি) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বাফুফে মাঠের ঘাসের আরও একটু কাজ করবে। আমাদের লাইটিং ও অন্যান্য কাজও শেষের দিকে। আমাকে জানানো হয়েছে, এক মাসের মধ্যে মাঠ প্রস্তুত হয়ে যাবে। খেলা আয়োজনে তো সমস্যা দেখছি না।’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ