সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ১১ জনের দণ্ড
Published: 7th, April 2025 GMT
ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন—ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, খান জাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জলিল শেখ, পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং মীর মোহাম্মদ শওকত আলী।
দণ্ডিতদের মধ্যে প্রথম সাত জনকে (সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা) বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ অনাদায়ে তাদের আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শেষের চারজনকে বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। এ অর্থ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রতারণার দায়ে তাদের সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ অনাদায়ে তাদের আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দুই ধারার সাজা একটির পর একটি চলবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেক্ষেত্রে তাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির মো.
খান জাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের তাজুল ইসলাম, আব্দুল জলিল শেখ, রফিকুল ইসলাম এবং মীর মোহাম্মদ শওকত আলীকে সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট বাবদ ১০টি এলসি/কনট্রাক্টর প্রদর্শন করে এর বিপরীতে ১৪টি পিসির মাধ্যমে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মে পর্যন্ত মঞ্জুরিকৃত পিএসসি লিমিট ৩০ লাখ টাকার বিপরীতে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৩ টাকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা সমন্বয় করা হয়। অবশিষ্ট ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা সমন্বয় করা হয়নি। খান জাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসব টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রমনা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।
২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ৬১ সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এর আগেও ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কয়েকটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়। তবে, দণ্ডিতদের অধিকাংশই পলাতক আছেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজার-১ আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী সালাহউদ্দিন
সময়ের আলোচিত রাজনৈতিক নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার-১ আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী হয়েছেন।
কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা নিয়ে এই সংসদীয় আসন গঠিত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ এই আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন পেলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির মনোনয়ন পেলেন নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফজলুর রহমান
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির অসুস্থ চেয়ারপারসন এবং লন্ডনে অবস্থান করা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত সালাহউদ্দিন আহমেদ। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে চলমান আলোচনায় তাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে।
ঢাকা/তারেক/রাসেল