এম ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা
Published: 7th, April 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে মার্চেন্ট ওয়ার্কারস (এম ডব্লিউ) উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও বার্ষিক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় আদমজীনগর কদমতলী এলাকায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ মিলাদ দোয়া ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রওশন আরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী সভাপতি মার্চেন্ট ওয়ার্কারস (এম ডব্লিউ) উচ্চ বিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি মো: মোশারেফ হোসেন।
তিনি বলেন, এই স্কুলের প্রতিটি বেঞ্চ, প্রতিটি দেয়াল তোমাদের গল্প জানে। তোমাদের না বলা কষ্ট, লুকিয়ে রাখা স্বপ্ন, বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসার সবকিছু এই বিদ্যালয়ের স্মৃতির পাতায় লেখা থাকবে।
তোমাদের পথচলা শুভ হোক। জীবনে অনেক দূর এগিয়ে যেও, কিন্তু কখনো ভুলে যেও না, তোমাদের এই শিক্ষালয়, তোমাদের এই শিক্ষকরা একদিন তোমাদের শৈশবের অংশ ছিল। কোনো একদিন ফিরে এসো, বলো, "স্যার/ম্যাডাম, আমি পেরেছি! এই কথাটা শুনতে পারলে, আমাদের জীবন সার্থক হবে
শিক্ষাজীবনের এক গন্ডি পেরিয়ে তোমরা চলে যাচ্ছে জান সঞ্চয়ের মহাপ্রাঙ্গনে। তোমাদের সান্নিধ্যময় দিনগুলোতে আমরা লক্ষ্য করেছি তোমাদের জ্ঞান তৃষ্ণার প্রাবল্য। তোমাদের জীবনের পথ আলোকিত হোক জ্ঞানলোকের দীপাবলি সজ্জিত সুদৃশ্য শিখায়। তাই কেবলই পরিশুদ্ধ প্রার্থনা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক প্রতিনিধি লিপি আক্তার, মোঃ লোকমান হোসেন,মো: আবুল কাশেম তালুকদার মোঃ আবুল কাশেম (কবি), জিন্নাত আরা বেগম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এস.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি বয় থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার আবু সালেহ, মাসে আয় কত জানেন
পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। অভাবের সংসারে নিজেকে একরকমের বোঝাই মনে করতেন। কিছু একটা করা দরকার। পরিস্থিতি যেন আবু সালেহ আহমেদকে দিন দিন আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্নে নিজেকে অটুট রেখেছেন। আর পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। ধৈর্য নিয়ে নিজের স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে আজ সালেহ নিজেকে বলতেই পারেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। কেননা এখন তিনি মাসে আয় করেন তিন লাখ টাকা।
আবু সালেহ আহমেদ। ডাকনাম আফনান। বাবা মো. কুতুব উদ্দিন শেখ মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এখন অবসর নিয়েছেন। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তারাপুর গ্রামের আবু সালেহ আহমেদ এখন অবশ্য এলাকায় থাকেন না। থাকেন ঢাকার কাঁঠালবাগানে। এখান থেকেই আফনান গড়ে মাসিক তিন লাখ টাকা আয় করেন। ছোট্ট একটা অফিসও নিয়েছেন, যেখানে চারজন ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান করেছেন।
২০১৬ সালে সেনগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাসের পর ২০২০ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন আবু সালেহ আহমেদ। এখন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে স্থাপত্য বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন। ছাত্রাবস্থাতেও তাঁর মাসিক আয় কোনো কোনো মাসে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২৭ বছর বয়সী আবু সালেহ আহমেদ বিয়ে করেছেন গত বছর। স্ত্রীর নাম ফাতেমা জোহরা।
পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াই ছিল কঠিন
আফনান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আসলে মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাস করে বের হয়েছি। তখন ইচ্ছা থাকলেও আমাদের সামর্থ্য ছিল না ভালো জায়গায় পড়ার। আমার চার বছর যে সময়টা কেটেছে, আসলে খুব কষ্টে কেটেছে। কলেজে আমি এক্সট্রা কারিকুলামে ভালো ছিলাম, ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছিলাম, বেশ কিছু জায়গায় বিতর্ক করে চাম্পিয়নও হয়েছি। স্যারদের চোখে পড়েছি। একসময় আর পেরে উঠছিলাম না, তাই দুই বছর পড়তে পড়তেই টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) নিতে গিয়েছিলাম। লক্ষ্মীপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকেরা আমার কথা শুনে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যার ফলে আমি পড়াশোনাটা শেষ করেছি।’
আবু সালেহ আহমেদ প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘দিনগুলো কঠিন ছিল। টিউশনি করাতাম। ১ হাজার ৫০০ টাকা পেতাম। ১ হাজার টাকা মেসভাড়া ও ৫০০ টাকায় খাওয়া। সকালে ও রাতে খেতাম। মাসে তা–ও খাওয়ার বিল আসত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। মেসের বাকিরা সেটা দিয়ে দিত। তারপর একদিন ২ হাজার ৫০০ টাকার একটা টিউশনি পেয়ে একটু যেন শক্তি পেলাম। এভাবেই আমার ডিপ্লোমার চার বছর কেটেছে।’
একবুক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায়
২০২০ সালে ডিপ্লোমা পড়া শেষ করেই একবুক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আবু সালেহ আহমেদ। এসেই শুরু করেন আবার জীবনসংগ্রাম। কোথাও কাজ পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ ফুডপ্যান্ডায় রাইডার (ডেলিভারি বয়) হিসেবে কাজ নেন তিনি। কিন্তু শুধু ফুডপ্যান্ডায় কাজের আয় দিয়ে তাঁর চলছিল না। তখন থেকেই কাজের পাশাপাশি কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন। কিছু জায়গায় খোঁজ নিয়ে ভর্তি হয়ে যান তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটিতে। খাবার ডেলিভারির পাশাপাশি কাজও শিখতেন।
আবু সালেহ আহমেদ