টেলিস্যাটের সঙ্গে এডিএন টেলিকমের চুক্তি
Published: 8th, April 2025 GMT
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও উদ্ভাবনী স্যাটেলাইট অপারেটর টেলিস্যাটর সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করেছে পুঁজিবাজারে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এডিএন টেলিকম লিমিটেড। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে লাইটস্পিড লো আর্থ অরবিট (এলইও) সংযোগ সুবিধা দেবে টেলিস্যাট।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৫৫ বছরের বেশি সময় ধরে স্যাটেলাইট অপারেশন ও ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে টেলিস্যাট তাদের আধুনিক এলইও নেটওয়ার্ক ডিজাইন করেছে। যাতে টেলিকম, এন্টারপ্রাইজ এবং সরকারি গ্রাহকদের জন্য নির্ভরযোগ্য সংযোগ নিশ্চিত করা যায়। টেলিস্যাট লাইটস্পিড কনস্টেলেশনের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ শুরু হবে আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে।
আরো পড়ুন:
সিএসইতে সূচক বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে
সংস্কারের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করা হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
এই অংশীদারত্ব চুক্তির মাধ্যমে টেলিস্যাট লাইটস্পিড পরিষেবা এবং স্মার্ট ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটর (ভিএনও) সক্ষমতা দেবে, যার মাধ্যমে এডিএন টেলিকম তাদের এন্টারপ্রাইজ, মেরিটাইম ও সরকারি গ্রাহকদের জন্য উদ্ভাবনী, কাস্টমাইজড সংযোগ সমাধান দিতে পারবে।
এডিএন টেলিকম প্রাথমিক ফিল্ড ট্রায়াল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে এবং ২০২৭ সালের শেষদিকে পূর্ণ পরিসরে পরিষেবা চালু করবে, যা শিল্পে সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুত তথ্য হার (কমিটেড ইনফরমেশন রেটস) ও গ্যারান্টিযুক্ত এসএলএ দেবে।
ঢাকা/এনটি/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চার মাস পর লেনদেন ৩শ কোটির নিচে
মঙ্গলবারও দর পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। বেশির ভাগ শেয়ারের দর কমে সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে। তবে সূচকের চেয়ে বড় পতন হয়েছে লেনদেনে। গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইর লেনদেন তিনশ কোটি টাকার নিচে নেমেছে।
গতকাল ডিএসইর লেনদেন নেমেছে ২৯১ কোটি টাকায়। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বরের পর প্রথম এ বাজারে তিনশ কোটি টাকার কম কেনাবেচা হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন ছিল ৪৫৪ কোটি টাকা। একদিনে লেনদেন কমেছে ১৬৩ কোটি টাকা।
এদিকে লাগাতার দর পতনের পরও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে রাজধানী মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন কিছু বিনিয়োগকারী। তারা বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন।
গতকালের লেনদেন শেষে দেখা গেছে, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ১২৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৯৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির দর। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৯টির দর বেড়েছে এবং কমেছে ১১টির।
খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে– ব্যাংক, বীমা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং টেলিযোগাযোগ খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। অন্যান্য খাতে মিশ্র ধারা ছিল। তবে ব্যাংকের শেয়ারদরই সূচকে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পতনের ধারায় দিনের লেনদেন শুরু হয় । প্রথম ১৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক ২১ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৯৩১ পয়েন্টে নামে। পরে সূচক পতন থামে। লেনদেনের প্রায় পুরোটা সময় উত্থান-পতনে কেটেছে। দিন শেষে ১৭ পয়েন্ট কমে ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৩৬ পয়েন্টে।