মধ্যপ্রাচ্যে নিষিদ্ধ ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’, মুখ খুললেন জন আব্রাহাম
Published: 8th, April 2025 GMT
গত ১৪ মার্চ মুক্তি পেয়েছে জন আব্রাহাম অভিনীত এবং প্রযোজিত সিনেমা ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’। সিনেমাটি ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষের মানুষের মন জয় করে ফেলেছে। বিশেষ করে ভারতের রাজনৈতিক মহলে বেশ ভালোই সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি। কিন্তু ভারত-পাশ্চাত্য দেশে সিনেমাটির জয়জয়কার হলেও মধ্যপ্রাচ্যের সিনেমাটি দেখানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন জন আব্রাহাম।
জন আব্রাহাম বলেন, ‘এই ছবিটি কোনও জঙ্গিবাদের ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়নি। রীতেশ শাহ একটি অসাধারণ স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। পরিচালক শিবম নায়ার এটি দারুণভাবে নির্মাণ করেছেন। এই সিনেমায় কোনও দেশকে ভালো দেখাতে গিয়ে অন্য কোনও দেশকে ছোট করা হয়নি।’
সিনেমাটি তৈরির আগে নির্মাতার সঙ্গে উগ্রবাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন নায়ক। সিনেমাটি দেখে কেউ কষ্ট না পান- সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
জনের কথায়, ‘সিনেমাটি তৈরি করার আগে শিবম এবং আমি দুজনেই ঠিক করেছিলাম এটি কোনও উগ্রবাদী ছবি হবে না। আমরা খুব হালকা সীমারেখা তৈরি করেছিলাম যাতে এই সিনেমাটি দেখে কেউ কষ্ট না পান। প্রত্যেক দেশেই ভালো এবং খারাপ মানুষ থাকে, কিন্তু কোনও দেশকে এখানে ছোট করা হয়নি।’
মধ্যপ্রাচ্য সিনেমাটি নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে মর্মাহত জন। তিনি বলেন, ‘এটি কোনও পাকিস্তান বিরোধী সিনেমা নয়। এই সিনেমায় আমরা দেখিয়েছি পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থা কতটা সৎ। একজন সৎ পাকিস্তানি আইনজীবী এবং একজন সৎ পাকিস্তানি বিচারপতিকে আমরা দেখিয়েছি। শুধু তাই নয়, সীমান্তে টহলদারি পুলিশও সৎ ছিলেন এই সিনেমায়। যাদের দেখানো হয়েছে তারা সকলেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাই এই সিনেমাটি নিয়ে আপত্তি তোলার কোনও কারণ নেই।’ সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এই স ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।