ইসরায়েলিদের বিচারের দাবি বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির
Published: 8th, April 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটি অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানায়।
দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ এই বিবৃতি পাঠান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, জাতিসংঘ ও বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ইসরায়েল একের পর এক অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে গাজা উপত্যকাকে এক বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা ও দায়মুক্তির কারণে ইসরায়েল গাজাবাসীকে হত্যা করছে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কিছুদিন যুদ্ধবিরতি মেনে চললেও গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে। যুদ্ধের সব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তারা মসজিদ ও হাসপাতালে নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে। অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করেছে, ডাক্তারদের হত্যা করেছে, শিশুদের হত্যা করছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা সমালোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রেরও। তাঁরা বলেন, বিশ্বের মানুষ যখন এই বর্বর ও নৃশংসতায় স্তম্ভিত, তখন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জামসহ সব ধরনের সহায়তা আরও বাড়ানোর কথা বলেছে, যা নিন্দনীয় ও ক্ষমার অযোগ্য।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের এবং জাতিসংঘকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে একটা যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। পাশাপাশি মুক্তিকামী ও মানবতাবাদী মানুষকে ইসরায়েলিদের প্রতিরোধ ও বিচারের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’