আর খেলতে চান না সাব্বির, কী কারণ জানালেন কোচ
Published: 9th, April 2025 GMT
পারিশ্রমিক না পাওয়ায় আজ দুপুরে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা বিসিবিতে গেছেন অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিতে। তাঁদের সঙ্গে দেখা গেল জাতীয় দলের একসময়ের ক্রিকেটার সাব্বির রহমানকেও।
এই মৌসুমে কিছু ম্যাচে ক্লাবটির অধিনায়কত্ব করা সাব্বিরের গায়ে অবশ্য পারটেক্সের জার্সি ছিল না। গত কয়েক দিন তিনি অনুশীলন করেননি, সর্বশেষ ম্যাচেও খেলেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাব্বির নাকি আর এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে আর মাঠেই নামতে চান না। কোচের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার পর তা গড়িয়েছে অনেক দূর, সঙ্গে পারিশ্রমিকের জটিলতা তো আছেই। সব মিলিয়ে এবারের মৌসুমে আর মাঠে নামা হচ্ছে না সাব্বিরের।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে থেকে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে সাব্বির বলেছেন, ‘আমি তো গত ম্যাচেই খেলিনি.
পারটেক্সের কোচ আনোয়ারুল মোস্তাকিম অবশ্য নিশ্চিত করেছেন, না খেলার কথা জানানোর পর সাব্বিরকে অনুরোধ করা হলেও তাঁর পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি এখনো।
পারটেক্সের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সাব্বিরে সঙ্গে শুরু থেকেই মিলছিল না ক্লাবটির। জুনিয়র ক্রিকেটারদের সামনে তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এতে নিজের ‘মানসম্মানের’ ক্ষতি হয়েছে মনে করে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাব্বির।
মৌসুমের শুরুতে সাব্বির রহমানকে অধিনায়ক করে পারটেক্স। কয়েকটা ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার পর তাঁকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, পরে তিনটা ম্যাচ খেলেন শুধু ক্রিকেটার হিসেবে।
এরপর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে পারটেক্সের সর্বশেষ ম্যাচে মাঠেই নামেননি সাব্বির। অসুস্থতার কথা জানিয়ে এই ম্যাচ থেকে ছুটি চেয়েছিলেন এই ক্রিকেটার—প্রথম আলোকে এমনটাই জানিয়েছেন পারটেক্স ক্লাবের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।
সাব্বিরকে শুরুতে অধিনায়কত্ব দিয়েও পরে সরিয়ে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে পারটেক্সের প্রধান কোচ আনোয়ারুল মোস্তাকিম বলেছেন, ‘একজন অধিনায়কের যেটা দায়িত্ব, সব খেলোয়াড়কে এক করা, সবার সঙ্গে কথা বলা (সেটা হচ্ছিল না)... খেলোয়াড়েরা সবাই অভিযোগ করেছে, সে অধিনায়ক থাকলে আমরা মাঠে মনোযোগী হয়ে খেলতে পারছি না। আপনারা যদি পারেন, তাঁকে অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। খেলোয়াড়দের অনুরোধে অফিশিয়ালরা এটা করেছে।’
মোস্তাকিম আবার এটাও দাবি করেন, পারফর্ম করতে না পারায় ও ‘মানসিকভাবে ফিট’ না থাকায় সাব্বির নিজেই না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সাব্বিরকে নিয়ে এই জটিলতার মধ্যেই পারটেক্সের খেলোয়াড়দের নিয়েও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মোস্তাকিম। তাঁর দাবি, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কয়েকজন খেলোয়াড় এমন নেতিবাচক ক্রিকেট খেলছেন, যা সন্দেহজনক।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সেই আছিয়ার পরিবারকে গরু ও ঘর দিল জামায়াত
মাগুরায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে দুটি গরু ও একটি গোয়ালঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার হস্তান্তর করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।
এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় এবং জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা
গত ১৫ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আছিয়ার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত বিচার চান। সে সময় আছিয়ার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জামায়াতের আমির।
আট বয়সী আছিয়া মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিন সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।
ঢাকা/শাহীন/রফিক