ক্রিকেটে ছয় দলই, সংখ্যায় ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন নারী অ্যাথলেটরা
Published: 10th, April 2025 GMT
২০২৩ সালের অক্টোবরে যখন গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হলো, তখনই জানা গিয়েছিল নারী ও পুরুষ দুই বিভাগেই ৬টি করে দল থাকতে পারে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে। এবার আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) নিশ্চিত করল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ক্রিকেটে দুই বিভাগেই থাকবে ৬টি করে দল। কোন খেলায় কয়টি করে দল খেলবে, মোট ইভেন্টের সংখ্যা কত হবে, কতজন করে অ্যাথলেট থাকবেন—এসব বিষয়ও চূড়ান্ত করেছে আইওসি। লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ সময় আজ সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এসব জানিয়েছে সংস্থাটি।
অলিম্পিকে ক্রিকেট হয়েছিল একবারই। ১৯০০ সালে প্যারিসে ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিল মাত্র দুটি দল—গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স। দুই দল অংশ নিয়েছিল দুই দিনের এক ম্যাচে। ১২৮ বছর পর অলিম্পিকে প্রত্যাবর্তনে ক্রিকেট হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আইওসি জানিয়েছে নারী-পুরুষ দুই বিভাগেই থাকবে ৬টি করে দল। প্রতিটি দলে ১৫ জন করে খেলোয়াড় থাকবেন।
সর্বশেষ ১৯০০ সালে অলিম্পিকে ক্রিকেট হয়েছিল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’