পেছানোর সিদ্ধান্ত হলো ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
Published: 10th, April 2025 GMT
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগস্টের প্রথম দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ জুন এই পরীক্ষার হওয়ার কথা ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২৪ সালে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। এই বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডার পদে ৩ হাজার ৪৮৭ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা। এই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন পৌনে চার লাখ চাকরিপ্রার্থী।
বর্তমানে চারটি বিসিএস পরীক্ষার জট লেগেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো বিসিএসের কার্যক্রম চলছে সাড়ে তিন বছর ধরে। এগুলোর মধ্যে ৪৪ তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। সর্বশেষ গত নভেম্বরে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যমান চারটি বিসিএসের জট শেষ করে পরবর্তী সময়ে একেকটি বিসিএস এক বছরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা করছে বর্তমান পিএসসি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষার বিদ্যমান পাঠ্যসূচিতেও পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মেসির জাদুতে জয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামি, ডি পলের অভিষেকে উচ্ছ্বাস
নতুন ঠিকানায় প্রথম ম্যাচেই আলো ছড়ালেন রদ্রিগো ডি পল। ইউরোপীয় ঘরানার ফুটবলের স্বাদ এবার আমেরিকার ঘাসে আনতে এসেছেন আর্জেন্টিনার মিডফিল্ড জেনারেল। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে আসা এই তারকা প্রথম দিনেই বুঝিয়ে দিলেন, মায়ামির মাঝমাঠ এবার আরও শক্ত হবে।
তবে সব আলো কেড়ে নিলেন সেই চিরচেনা নাম লিওনেল মেসি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে এসেই করলেন জোড়া অ্যাসিস্ট। তার মঞ্চায়িত খেলায় মুগ্ধ হলো পুরো চেজ স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে লিগ কাপের উত্তেজনায় যখন মাঠে নামে ইন্টার মায়ামি ও ক্লাব অ্যাটলাস, তখন কেউই ভাবেনি ম্যাচটা এতটা নাটকীয় হবে। প্রথমার্ধে গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ খুলে যায় জমজমাট নাটকের বইয়ের মতো।
আরো পড়ুন:
মেসি বনাম ইয়ামাল: ফিনালিসিমার সময়সূচি ঘোষণা
মেসিহীন মায়ামির হতাশা, নাটকীয় ড্রয়ে থমকে গেল স্বপ্নযাত্রা
৬০ মিনিটে সার্জিও বুসকেটস ও মেসির যুগলবন্দিতে বল পেয়ে যান তেলাস্কো সেগোভিয়া। এক ঝলক দক্ষতায় বল পাঠিয়ে দেন জালে। উল্লাসে ফেটে পড়ে মায়ামি। কিন্তু অ্যাটলাসও ছাড়ার পাত্র নয়। ৮০ মিনিটে রিভালদো লোজানো দারুণ এক চেষ্টায় সমতা ফেরান। তখন মনে হচ্ছিল, হয়তো ড্রতেই গড়াবে ম্যাচ।
কিন্তু ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে বিভ্রান্ত করে বল বাড়ালেন মেসি। সেই বল থেকে মার্সেলো ভাইগান্ট দুর্দান্ত শটে বল পাঠালেন জালে। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত হলো মায়ামির ২-১ গোলের দারুণ এক জয়।
এই জয়ে মায়ামি যেমন পূর্ণ তিন পয়েন্টে উল্লাসে ভাসছে, তেমনি মেসি বুঝিয়ে দিলেন, এখনও তার পায়ে যাদু শেষ হয়নি। আর ডি পলের অভিষেকটা যেন উপহার হয়ে এলো দলের জন্য। বুসকেটস, আলবা ও মেসিকে পাশে পেয়ে ডি পল এখন আরও প্রাণবন্ত। ইউরোপের সেই সমন্বিত পাসিং ফুটবল এবার আমেরিকার মাঠেও দেখতে পাচ্ছে ফুটবলপ্রেমীরা।
ঢাকা/আমিনুল